সেলিম মাহবুবঃ
রাজধানীর কল্যাণপুরে দেরি রাতে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়ার পর চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে বাবুল নামে এক ব্যক্তির। নিহত বাবুলের বয়স ছিল ৪৬ বছর। তিনি ময়মনসিংহ জেলার বোরতিচর এলাকার বাসিন্দা এবং পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। তার মৃত্যুকে ঘিরে এলাকাজুড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে, ইতোমধ্যে পরিবার মামলা দায়ের করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাবুল ঢাকার কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে চট্টগ্রামগামী বাস ধরতে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তার পূর্ব থেকে পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ ছিল। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা মাত্রই অভিযুক্তরা তাকে ঘিরে ফেলে এবং মারধর শুরু করে। হামলার সময় রুটির দোকানে ব্যবহৃত বেলুন ও হাতের আঘাতে বাবুল গুরুতর আহত হন এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে।
হামলার পরে পরিস্থিতি বুঝে বাবুল কোনোভাবে শ্যামলী পরিবহনের বাসে উঠে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে তিনি বেশ কয়েকবার বমি করতে থাকেন এবং শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সকালে অবস্থার আরও অবনতি হলে বাসে থাকা তার সহকর্মী সুলতান তাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুর প্রায় ২টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছে সুলতান একটি সিএনজি অটোরিকশায় বাবুলকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের মত অনুযায়ী মারধরের আঘাতেই বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী শামীমা আক্তার মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা একই এলাকার স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করে এবং তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকে বিতর্কিত সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে।
বাবুলের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে শোকের সঙ্গে ক্ষোভও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পরদিন মানববন্ধন আয়োজন করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তোলেন। কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের ভবিষ্যত নিয়ে প্রতিবেশীদের উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় থাকার বার্তা উঠে আসে এই মানববন্ধনে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, মামলাটি তদন্তাধীন এবং প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধ যথাসময়ে সমাধান করা হলে একটি প্রাণ অকালেই ঝরে যেত না।
পূর্ব শত্রুতা প্রাণ নিলো বাবুলের, মামলা করলেন স্ত্রী
সেলিম মাহবুবঃ
রাজধানীর কল্যাণপুরে দেরি রাতে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়ার পর চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে বাবুল নামে এক ব্যক্তির। নিহত বাবুলের বয়স ছিল ৪৬ বছর। তিনি ময়মনসিংহ জেলার বোরতিচর এলাকার বাসিন্দা এবং পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। তার মৃত্যুকে ঘিরে এলাকাজুড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে, ইতোমধ্যে পরিবার মামলা দায়ের করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাবুল ঢাকার কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে চট্টগ্রামগামী বাস ধরতে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তার পূর্ব থেকে পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ ছিল। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা মাত্রই অভিযুক্তরা তাকে ঘিরে ফেলে এবং মারধর শুরু করে। হামলার সময় রুটির দোকানে ব্যবহৃত বেলুন ও হাতের আঘাতে বাবুল গুরুতর আহত হন এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে।
হামলার পরে পরিস্থিতি বুঝে বাবুল কোনোভাবে শ্যামলী পরিবহনের বাসে উঠে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে তিনি বেশ কয়েকবার বমি করতে থাকেন এবং শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। সকালে অবস্থার আরও অবনতি হলে বাসে থাকা তার সহকর্মী সুলতান তাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুর প্রায় ২টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছে সুলতান একটি সিএনজি অটোরিকশায় বাবুলকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের মত অনুযায়ী মারধরের আঘাতেই বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী শামীমা আক্তার মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা একই এলাকার স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করে এবং তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকে বিতর্কিত সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে।
বাবুলের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে শোকের সঙ্গে ক্ষোভও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পরদিন মানববন্ধন আয়োজন করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তোলেন। কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের ভবিষ্যত নিয়ে প্রতিবেশীদের উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় থাকার বার্তা উঠে আসে এই মানববন্ধনে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, মামলাটি তদন্তাধীন এবং প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধ যথাসময়ে সমাধান করা হলে একটি প্রাণ অকালেই ঝরে যেত না।