
সেলিম মাহবুব:
খাগড়াছড়ি অঞ্চলে সাম্প্রতিক উত্তেজনা কোনো হঠাৎ সৃষ্ট সমস্যা নয়; এর পেছনে জাতীয় রাজনীতির জটিলতা ও বহিঃশক্তির ভূমিকা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি আসলে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির ষড়যন্ত্র এবং ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলেরই বহিঃপ্রকাশ।
আমজনতার দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময়ই সংকটকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও তারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে ঘোরাতে খাগড়াছড়ির অশান্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার বিদেশে অবস্থানকালে দেশের ভেতরে অস্থিরতা তৈরির প্রচেষ্টা নজরে আসছে।
ভারতের ভূরাজনৈতিক প্রভাব
খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় বরাবরই ভারতীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও সম্পদ দখলের ষড়যন্ত্রের আলোচনায় থাকে। চট্টগ্রামের মতো কৌশলগত অঞ্চলের ওপর ভারত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়
ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং বহিঃশক্তির অপচেষ্টা মোকাবিলা করা। এজন্য কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি—
পার্বত্য অঞ্চলের সংবেদনশীলতা
পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি অত্যন্ত কৌশলগত অঞ্চল। জাতিগত বৈচিত্র্য, অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও রাজনৈতিক বিভাজন বহিঃশক্তিকে হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয়। বিশেষ করে ভারত নানা এনজিও, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে।