
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত এক শিশুর জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মহিবুর রহমান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়। তবে এসআই মহিবুর রহমানের দৃঢ় অবস্থানের ফলে শিশুটি দ্রুত স্থানান্তরিত হয় এবং বর্তমানে উন্নতির দিকে রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শানু মিয়ার সাত বছরের ছেলে তাজিম ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে অসতর্কভাবে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মুক্তি মেডিকেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
স্বজনরা নেবুলাইজারসহ নিতে চাইলে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার বাধা দেন। এ সময় এসআই মহিবুর রহমান ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেও সফল না হয়ে অবশেষে জোরালো উদ্যোগে শিশুটিকে সিলিন্ডারসহ নিজ হাতে সিএনজিতে তুলে দেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়লেও তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বর্তমানে শিশুটি মৌলভীবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখার পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে শিশুটি পুরোপুরি সেরে উঠবে কি না। তবে এখন পর্যন্ত তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তবে নেবুলাইজার নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এসআই মহিবুর রহমান বলেন— “একজন মানুষের জীবন বাঁচানোই প্রধান দায়িত্ব। আমি চেষ্টা করেছি শিশুটি যেন জীবিত থাকে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়রা এসআই মহিবুর রহমানের প্রশংসা করেছেন এবং হাসপাতালগুলিকে রোগীর জীবনের চেয়ে অর্থকে অগ্রাধিকার না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।