
গণতন্ত্র তখনই পূর্ণতা পায়, যখন রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে প্রতিনিধিত্বের বৈচিত্র্য নিশ্চিত হয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সকল রাজনৈতিক তারকাকে সংসদে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, তবে এটি হবে এক অত্যন্ত গঠনমূলক ও দূরদর্শী পদক্ষেপ।
রাজনীতিতে তারকা ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্তি শুধু নির্বাচনী প্রতিযোগিতাকে প্রাণবন্ত করবে না, বরং সংসদের বিতর্ক, সিদ্ধান্ত ও নীতি নির্ধারণে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করবে। এরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র- সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিক্ষা, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার- থেকে উঠে আসা মানুষ, যাদের অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তা জাতির কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালোভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
এমন উদ্যোগ গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল করবে। এটি জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির প্রতি উৎসাহিত করবে।
বিএনপি যদি সত্যিই জাতীয় ঐক্য, স্বচ্ছ নেতৃত্ব ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পুনরুত্থান চায়, তবে এই পথেই গণতন্ত্রকে টেকসই করার সুযোগ রয়েছে।
সারকথা, রাজনৈতিক তারকাদের সংসদে অন্তর্ভুক্তি শুধু একটি দলীয় কৌশল নয়- এটি হতে পারে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা পরবর্তী গণতন্ত্র পুনর্জাগরণের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।