আহমাদুল্লাহ উজায়ের প্রতিনিধিঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণ এবং এর পূর্বাপর ঘটনাবলি দেশের মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজী কয়েক মাস ধরে হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যে ছিলেন। তার ভাষ্যমতে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্ন সময়ে একাধিক চিঠি পাঠিয়ে ইসকনের নেতা চিন্ময়ের পক্ষে কথা বলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে এবং হিন্দু-মুসলমান প্রেমের পক্ষে কথা বলতে বলা হয়।

এছাড়া, এসব শর্ত মেনে চললে বিপুল অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়, অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরিবারের দায়ের করা ডায়েরিতে উল্লেখ আছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে জুমার খুতবায় তিনি ইসকনবিরোধী বক্তব্য দেন। সেই সময় থেকেই তাকে ধারাবাহিকভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “ইসকনের নাম ব্যবহার করে একজন ইমামকে হুমকি দেওয়া এবং পরবর্তীতে অপহরণের ঘটনা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে।” তিনি সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুরে মুসলিম এক বালিকাকে হিন্দু কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা এবং বুয়েটের এক শিক্ষার্থী কর্তৃক মুসলিম মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এসব ঘটনার পেছনে একটি অপশক্তি দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই— ঘটনাটির বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করুন। শুধু ধামাচাপা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। মুসলিম মেয়ের ধর্ষণ নিয়ে পুলিশের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া মন্তব্য ছিল বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর। তাই টঙ্গীর ঘটনাতেও যেন দায়সারা তদন্ত না হয়, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।”

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, অপহরণ ও এর পেছনের ষড়যন্ত্র উদঘাটন করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।বাকেরগঞ্জে সিরাতুন্নবী (সা.) প্রতিযোগিতা : শিশু-কিশোরদের আধ্যাত্মিক চেতনায় উজ্জীবিত করার অনন্য আয়োজন