মো: জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।দিনটিকে সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে উদযাপনের প্রত্যয়ে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ভাসানী মেলা প্রাঙ্গণের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রূপক আহমেদ। তাঁর এই উদ্যোগ ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানে রূপক আহমেদের সঙ্গে যুক্ত হন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আদনান, যোগাযোগ সম্পাদক আব্দুল করিম এবং সরকারি মোহাম্মদ আলী কলেজ ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী। দীর্ঘ এক সপ্তাহব্যাপী ভাসানী মেলা চলার কারণে মেলা মাঠ ও আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম ছিল। অনেক দোকান, অস্থায়ী স্টল ও দর্শনার্থীদের কারণে মাঠ জুড়ে প্লাস্টিক, কাগজ, খাবারের প্যাকেটসহ নানা ধরনের আবর্জনা জমে ছিল। পরিবেশ সুরক্ষা এবং পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যেই ছাত্রদল নেতারা দিনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে উদযাপন করেন।

আরোও পড়ুন - উত্তরায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ৬১টি সেলাই মেশিন বিতরণ

রূপক আহমেদ জানান, জন্মদিনকে কেক কাটা বা প্রচলিত আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, একজন রাজনৈতিক কর্মীর দায়িত্ব শুধু দলীয় কর্মসূচি নয়, পাশাপাশি জনসেবা ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখা। বিশেষ করে মেলা শেষে জমে থাকা আবর্জনা শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা তৈরি করছিল এবং পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছিল। সেই বিবেচনায় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং সংগঠনের সহায়তায় পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি হাতে নেন।

এই উদ্যোগে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাদের মতে, রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের এমন মানবিক ও পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাসকে আরও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করে তুলবে। একই সঙ্গে এমন পদক্ষেপ ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেবে অনেকের মাঝে। রূপক আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে সব ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। একসঙ্গে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আরও পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে।

মাভাবিপ্রবিতে তারেক রহমানের জন্মদিনকে সামাজিক সেবামূলক কাজে রূপান্তরিত করার এই উদ্যোগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয়দের মধ্যেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ছাত্রদল একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা ভবিষ্যতে অন্য সংগঠনগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে বলে অনেকে মনে করেন।