আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ

৪৫তম বিসিএসের সাম্প্রতিক প্রকাশিত ফলাফলে উজ্জ্বল সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। সরকারি কর্মকমিশন-পিএসসির প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, দেশের একমাত্র টেক্সটাইল-কেন্দ্রিক এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ ক্যাডারে জায়গা করে নিয়েছেন। এ অর্জন বুটেক্স পরিবারে নতুন আনন্দের ঢেউ সৃষ্টি করেছে।

এ বছরে মোট ২ হাজার ৩০৯টি শূন্যপদের বিপরীতে ১ হাজার ৮০৭ জনকে ক্যাডারভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়। কঠিন প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষায় বুটেক্স শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশ প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন নাফিস সোনেট, মনিরা রহমান উষা, মো. নিজাম উদ্দিন, ইমরান হোসেন ও রাজিব ফকির। দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কাজে ভূমিকা রাখার স্বপ্ন নিয়ে তারা দীর্ঘ প্রস্তুতির পথ পাড়ি দিয়েছেন।

পুলিশ ক্যাডারে জায়গা করে নিয়েছেন আশরাফুল ইসলাম ইমন, রাহিদ সুলতান, আফসানা ফেরদৌস মিষ্টি ও শামীম আহমেদ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হতে পারায় তারা নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন।

এছাড়াও আনসার ক্যাডারে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আমিরুল মোমেনিন। তার পাশাপাশি শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে সুব্রত মণ্ডল, পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে আশরাফ আহমেদ এবং খাদ্য ক্যাডারে কামরুজ্জামান তন্ময় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

বুটেক্সের এই সাফল্যের পেছনে দীর্ঘ সময়ের মনোযোগী প্রস্তুতি, গবেষণা-সমৃদ্ধ পরিবেশ, এবং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার সংস্কৃতি বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে ছাত্রছাত্রীদের ভাষ্য। দীর্ঘ প্রস্তুতির মানসিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে তারা জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতে, টেক্সটাইলভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রশাসন, পুলিশ বা অন্যান্য সাধারণ ক্যাডারে বুটেক্সের ক্রমাগত অগ্রগতি এখন আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং এটি তাদের সক্ষমতা ও বহুমাত্রিক দক্ষতার বাস্তব প্রতিফলন।

বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থীর এ অর্জন তাদের ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও একটি বড় মাইলফলক। আগামীর বিসিএস পরীক্ষার্থীদের কাছে এটি নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।