
স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বহিষ্কৃত কৃষকদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে কৃষকদলের উপজেলা কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বহিষ্কারের অল্প কিছুদিন পরই স্থানীয় এক ব্যক্তির করা চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন করে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত ২১ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার মোশারফ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ করা হয়, দাবিকৃত অর্থ প্রদান না করলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির মুখে পড়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হন এবং চাঁদাবাজির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন।
বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (বাকেরগঞ্জ) অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করেছে। আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করবে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আইনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এ মামলা যেন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বহিষ্কারের পরবর্তী সময়ে এই অভিযোগ নেতার রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও দুর্বল করবে। অন্যদিকে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। তার নীরবতা আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী দাবি করেছেন তিনি ন্যায়বিচারের জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং তিনি আশা করেন মামলার সুষ্ঠু নিষ্পত্তির মাধ্যমে সত্য সামনে আসবে।
পুরো ঘটনা ঘিরে বাকেরগঞ্জে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও স্থানীয় নেতৃত্বের সংঘাতের ধারাবাহিকতায় এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়ছে, যা স্থানীয় রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।