
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকায় পূর্ব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে একদল অস্ত্রধারীর হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় যুবক নাইম মিয়া লিখিত অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রকে দায়ী করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ইয়াছিন খাঁ নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নামে সন্ত্রাস, ভয়ভীতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে— চক্রটির প্রধান সহযোগী ও আশ্রয়দাতা হিসেবে স্থানীয় যুবক রাসেল ফকির দীর্ঘদিন সক্রিয়। তার আর্থিক সহায়তা ও নিরাপত্তায় ইয়াছিন খাঁ–এর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দলটি এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এই হামলার পেছনেও রাসেল ফকির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ২৮ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায়। নাইম মিয়া বাড়ি ফেরার পথে কবিরের বাড়ির পাশের সড়কে তাকে আটকে ফেলে ইয়াছিন খাঁ, রাসেল ফকির, ইকবাল খাঁ, টুকু খাঁ, ওমর মিয়াসহ ১০-১৫ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী। তাদের হাতে ছিল দা, চাপাতি, রামদা, লোহার রড, ছেন, চাইনিজ কুড়াল, সুইচগিয়ার এবং আগ্নেয়াস্ত্র। হামলার সময় ইয়াছিন খাঁ চাপাতি দিয়ে আঘাত করলে, নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে নাইম মিয়ার বাম হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে রাসেল ফকির রামদা দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করলে আঘাতটি তার প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইলে লাগে এবং মোবাইল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগকারী জানান।
হামলার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং হুমকি দিয়ে বলে— মামলা করলে প্রাণনাশের চেষ্টা করা হবে। পরে আহত অবস্থায় নাইম মিয়া ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পারিবারিক পরামর্শের কারণে অভিযোগ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর দাবি, ইয়াছিন খাঁ, রাসেল ফকির ও ইকবাল খাঁ মিলে এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এদের পেছনে রাসেল ফকিরই সবচেয়ে বেশি প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তারিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। কারা সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছে এবং কারা সহযোগী— তা যাচাইয়ের কাজ চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা চিহ্নিত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।