
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১১ই সেপ্টেম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিএনপি ও গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ এই দিনটিকে “কারামুক্তি দিবস” হিসেবে পালন করে আসছে।
২০০৭ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এই মুক্তির মাধ্যমে শুধু একজন নেত্রীর স্বাধীনতা ফিরে আসেনি; এটি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার এক প্রতীকী বিজয় হয়ে উঠেছে।
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে দৃঢ়তা, সাহস এবং আপোষহীনতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। সামরিক শাসন, স্বৈরাচার ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতা—সবকিছু মোকাবিলা করে তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১১ই সেপ্টেম্বরের মুক্তি এই সংগ্রামের মাইলফলক হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
এই দিনটি বিএনপি ও সাধারণ মানুষের কাছে একটি অনুপ্রেরণার দিন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও স্মারক কর্মসূচির মাধ্যমে নেত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করা হয়। একই সঙ্গে, জনগণকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এই দিবসটি রাজনৈতিক ও ন্যায়বিচারের সম্পর্ককে নতুনভাবে আলোচনায় আনে। একজন নেত্রীর মুক্তি কেবল ব্যক্তিগত নয়; এটি একটি দলের নৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তিরও প্রকাশ। বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে ১১ই সেপ্টেম্বর শুধু স্মৃতি নয়, বরং ন্যায়বিচার ও জনগণের শক্তির জাগরণ।
১১ই সেপ্টেম্বরের এই কারামুক্তি দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে গণতন্ত্রের পথ সহজ নয়, কিন্তু নেতৃত্ব ও জনগণের সম্মিলিত শক্তি সব বাধা পেরিয়ে বিজয় এনে দেয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিকের জন্য আশা ও প্রেরণার প্রতীক।
এই দিনটি শুধু বিএনপি নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি বার্তা — ন্যায়বিচার, জনগণের অধিকার ও নেতৃত্বের দৃঢ়তা যে কোনো প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকে।