
রিপোর্টার: সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গঃ
কলকাতার ২১ নম্বর আর এন মুখার্জি রোডের সংযোগস্থলে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে একটি মোটর পার্টসের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অফিস এলাকা হওয়ায় ঘটনাটি দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। লালবাজার থেকে খুব অল্প দূরত্বেই অবস্থিত পুরনো এই অফিস–গোডাউন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন ও কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও হেয়ার স্ট্রিট থানায় খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়লে ধারাবাহিকভাবে আরও কয়েকটি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছায়।মান্দার মৈনম গ্রামের আড়াইশ বছরের রায় বাড়ি: ইতিহাস, গৌরব ও বেদনার জীবন্ত সাক্ষ্য

দমকল কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন। তবে গোডাউনের চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় কাজ কঠিন হয়ে ওঠে। হোস পাইপ দিয়ে পানি ছেটেও আগুন আয়ত্তে আসছিল না। বাধ্য হয়ে জানলার রড কাটার দিয়ে কেটে হুড পাইপ ভেতরে প্রবেশ করিয়ে জোরালোভাবে পানি দিতে শুরু করেন দমকল কর্মীরা।
তিনতলা ওই ভবনের নিচতলা বা গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগে। দমকল সূত্রে জানা যায়—গোডাউনে বিপুল পরিমাণ মোটর পার্টস, প্লাস্টিক সামগ্রী ও দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার টানা চেষ্টায় আগুন বেশিরভাগটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ভেতরে কিছু অংশে আগুন ও ধোঁয়া রয়ে যায়।
দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি। ফরেনসিক টিমের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মূল কারণ জানা যাবে। তবে উপরের তলাগুলিতে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। আগুনে গোডাউনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে প্রায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দমকলের কাজ চলতে থাকে। কর্মকর্তারা জানান, দিনের বেলা হওয়ায় পানি সরবরাহ ও ভেতরে প্রবেশ করে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে, নতুন করে আর আতঙ্কের কিছু নেই।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অফিসপাড়া এবং নিত্যযাত্রীরা রাস্তায় ভিড় জমালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়, যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়। যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে ঘটনার সময় কোনো কাউন্সিলর, বিধায়ক বা মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।