
রাকিব উদ্দিন, চট্টগ্রামঃ
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনী আরএনবিতে সম্প্রতি দেওয়া একটি পদোন্নতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত পরীক্ষার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ইন্সপেক্টর আবু সুফিয়ানকে চিফ ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই রেলওয়ের ভেতরে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক কাঠামোর কঠোর নীতিমালা থাকলেও তা উপেক্ষা করে কীভাবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব প্রদান করা হলো, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ একাধিক সূত্র জানায়, চিফ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষার বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই আবু সুফিয়ান অতিরিক্ত দায়িত্বে চিফ ইন্সপেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দপ্তরের আনুষ্ঠানিক নির্দেশ ছাড়া চিফ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ব্যাজ ব্যবহার করছেন, যা রেলওয়ের নিয়মবহির্ভূত। এ ধরনের ব্যাজ ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি মাঠপর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া সিজিপিওয়াই এলাকার একাধিক স্থানে তার নির্দেশে কথিত ক্যাশিয়ার দুলালের নেতৃত্বে দখলবাণিজ্য, তেল চুরি, ট্রাক স্ট্যান্ড বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি এবং সরকারি জমি দখল করে চাষাবাদের নামে চাঁদাবাজির কার্যক্রম চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এসব অবৈধ আর্থিক লেনদেনের একটি অংশ বিভিন্ন উচ্চপদস্থদের কাছেও পৌঁছায় বলে গুঞ্জন রয়েছে।সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি: কুলাউড়া জংশনে নতুন ট্রেন চালু ও রেলপথ সংস্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে আবু সুফিয়ানের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান না এবং প্রয়োজন হলে তার ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। অন্যদিকে আরএনবি পূর্বাঞ্চলের চীফ কম্যান্ড্যান্ট মো. আশাবুল ইসলাম জানান, লোকবল সংকটের কারণে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং মৌখিক দায়িত্ব পেলে ব্যাজ ব্যবহারের বিষয়টিও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
তবে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী দপ্তরাদেশ ছাড়া কোনো কর্মকর্তা উচ্চপদস্থ ব্যাজ ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে এ পদোন্নতি ও দায়িত্বপ্রাপ্তির বিষয়টি নীতিগতভাবে সঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রেলওয়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও সচেতন নাগরিকরা। তারা মনে করছেন, এ ধরনের অনিয়ম সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।