সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গঃ

২৪তম বর্ষে পদার্পণ করল ভবানীপুর ইউনাইটেড ইউথ ফোরামের কার্তিক পুজো। ভবানীপুর যদুবাবু বাজার সংযোগস্থলে সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো এই বছরের কার্তিক পুজো। ইউনাইটেড ইউথ ফোরামের পরিচালনায় এবং কামারহাটির মাননীয় বিধায়ক মদন মিত্রের উদ্যোগে পুজোর সূচনা হয় ফিতে কাটা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে। এবারের থিম লাইভ ভূত, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে অভিনব মণ্ডপ, দর্শকদের মাঝে যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র ছাড়াও বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, কাউন্সিলর বাবু বক্সী, বৈশ্যানর চট্টোপাধ্যায়, কার্তিক ব্যানার্জি এবং ক্লাবের সদস্য ঝন্টু, রাকেশ, পাপ্পু, মন্টু সহ আরও অনেকে। অতিথিদের উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেয় আয়োজক সংস্থা। দীর্ঘ চব্বিশ বছর ধরে যদুবাবু বাজারের সামনে আয়োজিত এই কার্তিক পুজো এলাকায় এক উল্লেখযোগ্য উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের সমাগমে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ঘরে ঘরে কার্তিক পুজো পালিত হলেও ভবানীপুরের এই বৃহৎ আয়োজন দেখতে মানুষের ঢল নামে। বাঙালি সংস্কৃতিতে কার্তিক পুজোতে গৃহিণীদের মনস্কামনা পূরণের বিশ্বাস গভীরভাবে জড়িয়ে থাকায় উৎসবটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আরোও পড়ুন - শীতের শুরুতেই কলকাতার পার্কে ভিনদেশীদের শীতবস্ত্রের রঙিন মেলা, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

উদ্বোধনে এসে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী জানান, তিনি প্রতি বছর এই পুজোর আমন্ত্রণ পেয়ে আনন্দিত বোধ করেন এবং এলাকার মানুষদের উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ হন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভবানীপুর এলাকাজুড়ে কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে যে পরিবেশ তৈরি হয়, তা সত্যিই অনন্য। পুজোর উদ্যোক্তা মদন মিত্র জানান, পুজোর পরিকল্পনা ও সফল আয়োজনের পেছনে স্থানীয় যুবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবারের থিম লাইভ ভূত দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে বলে তাঁর বিশ্বাস। তিনি তাঁর রাজনৈতিক ক্ষেত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, মানুষের ভোটাধিকার সুরক্ষায় দল নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন এলাকায় ভোটার তালিকা নিয়ে যে সমস্যার কথা উঠছে, তা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়াও তিনি জানান, কার্তিক পুজো উপলক্ষে ভবানীপুর এলাকায় কোনো রাস্তায় যানজট বা চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে না। একই সঙ্গে আসন্ন তাঁর অভিনীত সিনেমা লক্ষীকান্তপুর লোকাল নিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সকলকে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে অনুরোধ করেন। উৎসবমুখর পরিবেশে কার্তিক পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয় এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান আয়োজকরা।