
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোংলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পরিচয় ‘নবী’ হিসেবে দাবি করে ভিডিও প্রচারের ঘটনায় রাসেল ঢালী (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করলে পুলিশ দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে তাকে আটক করে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতেই মোংলা থানা পুলিশ অভিযানে গিয়ে রাসেল ঢালীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক রাসেল ঢালী সুন্দরবন ইউনিয়নের কামরুল ঢালীর ছেলে। স্থানীয়ভাবে রাসেলকে অনেকেই চেনেন, তবে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার আগে সে কোনও বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল কি না তা নিয়ে এলাকাবাসীর ভিন্ন মত রয়েছে। তবে ভিডিওতে তার নবী দাবি স্থানীয় জনগণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নজরে আসার পরই পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। এতে দেখা যায়, রাসেল ঢালী নিজের পরিচয় এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যা ধর্মীয় সংবেদনশীলতা উদ্রেক করতে পারে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আগে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
আরোও পড়ুন - সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি : ধর্ম উপদেষ্টা
ওসি আরও জানান, ভিডিওটি যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাসেল ঢালীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার পর এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে, আবার কেউ কেউ মনে করছেন মানসিক সমস্যার কারণেও এমন আচরণ হতে পারে। তবে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নিয়ে বেশ কিছু উচ্চমাত্রার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথা উল্লেখ করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। অন্যদিকে কেউ কেউ ভিডিওটি শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়ে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
মোংলা থানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে ভিডিওর উৎস, এর প্রচার এবং যুবকের বক্তব্য বিশদভাবে যাচাই করা হবে। প্রশাসন বলছে, ধর্মীয় উসকানি বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জননিরাপত্তায় বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।