
মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল অল্প সময়ের মধ্যেই সাংগঠনিক কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাত্র ২০–২৫ দিনের মধ্যে মহানগরের প্রতিটি থানা ও ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন সম্পন্ন করে সংগঠনটি নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই সফল অভিযাত্রায় নেতৃত্ব দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি। চ্যালেঞ্জিং এই কাজটি তারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সম্পন্ন করেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরীর ২৪/২৫ নম্বর ওয়ার্ডে রামচন্দ্রপুর বাসার রোডে অনুষ্ঠিত হয় কর্মীসভা। মহানগর দপ্তর সম্পাদক সৈকত পারভেজের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আহ্বায়ক মীর তারেক এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল বাবু। সভাপতিত্ব করেন বোয়ালিয়া থানা পূর্বের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ আলী এবং সঞ্চালনা করেন দপ্তর সম্পাদক সৈকত পারভেজ।
বক্তারা জানান, অল্প সময়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক কর্মীসভা আয়োজনের মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—হাইব্রিড বা সুযোগসন্ধানী নেতাদের দলে স্থান না দেওয়া। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর যারা দলে প্রবেশের চেষ্টা করছে বা অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল, তাদের ছাঁটাই করা অত্যন্ত জরুরি বলে তারা উল্লেখ করেন।
মীর তারেক বলেন, “খুব দ্রুত সময়ে এতটা সফলতার সাথে কর্মীসভা সম্পন্ন করতে পারব ভাবিনি। প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সাড়া প্রমাণ করে সংগঠন কতটা শক্তিশালী।”
সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে গঠিত এই কমিটিতে ত্যাগী নেতারাই নেতৃত্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বা চাঁদাবাজি-দখলবাজির সাথে জড়িত কেউ স্বেচ্ছাসেবক দলে স্থান পাবে না।”
দপ্তর সম্পাদক সৈকত পারভেজ বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
সভা শেষে নেতাকর্মীদের শ্লোগান ও উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল জানায়—এই অগ্রযাত্রা থেমে থাকবে না; বরং প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনকে আরও গতিশীল করা হবে।