
মাজহারুল ইসলাম বাদল:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ভৈরব নগর গ্রামের পূর্বপাশের বিল থেকে ফসলি জমির উর্বর মাটি অবৈধভাবে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা—এমন অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে বেকু (এক্সক্যাভেটর) ব্যবহার করে দিনের আলোতে এসব মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কৃষক ও পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেকু ড্রাইভার ও নৌকার শ্রমিকরা সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে প্রথমে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেন। পরে এক প্রশ্নের জবাবে তারা জড়িত থাকা কয়েকজনের মধ্যে এনামুল মিয়ার নাম প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল ফসলি জমির উপরিস্তরের উর্বর মাটি কেটে স্টিলের নৌকাযোগে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করছে। এর ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, আর কৃষিজমি হারাচ্ছে উর্বরতা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, এই অবৈধ কার্যক্রম শুধু কৃষিজমির উৎপাদনশীলতাই ধ্বংস করছে না, বরং নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার মতো ভয়াবহ পরিবেশগত সমস্যাও সৃষ্টি করছে।
উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত অভিযান চালিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
তবে অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর প্রভাবশালী চক্রটি প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।