
হারুনুর রশিদ, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর সাপাহারে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশ রক্ষায় তরুণ প্রজন্মসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই কার্যক্রম এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বৃহত্তর সচেতনতা তৈরির চেষ্টা আরও জোরদার হলো।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ। র্যালি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমানা রিয়াজের নেতৃত্বে পরিষদ চত্বরে মশক নিধন কার্যক্রম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ শুরু হয়। পরিষদ এলাকার ড্রেন, নর্দমা, ঝোপঝাড় ও পানি জমে থাকা জায়গাগুলোতে ওষুধ ছিটানো হয়। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীরা ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গঠন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাপলা খাতুন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানি, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এবং পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনেকে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও পরিবেশ রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেন, যা তরুণ সমাজের দায়িত্ববোধকে আরও দৃঢ় করে।
আরোও পড়ুন - আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ ও ডেংগু প্রতিরোধ: প্রার্থী নির্বাচন এখন দায়িত্বের প্রশ্ন
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নিজের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। তাই নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার, পানি জমে থাকা স্থান অপসারণ, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মতো কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। তারা উল্লেখ করেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত অংশগ্রহণেই কেবল প্রকৃত জনসচেতনতা তৈরি সম্ভব।
এ ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন উদ্যোগ নিয়মিত চালু থাকলে এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্থানীয় জনগণ। সাপাহার উপজেলায় চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের পদক্ষেপকে সবাই সময়োপযোগী ও কার্যকর হিসেবে দেখছেন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান উপস্থিত অতিথিরা।