সম্পাদকীয়ঃ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ সামনে এসেছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এখন প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত। তবে দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এমন সময় যে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে শুধুমাত্র ক্ষমতার লড়াই হিসেবে দেখা যায় না। সারাদেশে ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এমনভাবে বেড়েছে যে এটি এখন মহামারী রূপ ধারণ করেছে।
ডেংগু প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং সমাজসেবী সংগঠনগুলোর সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের জনসেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং ডেংগু প্রতিরোধ কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক।
নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই শুধুমাত্র রাজনৈতিক অবস্থান বা জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করা যাবে না। এ সময়ে প্রার্থীদের ক্ষমতা ও প্রতিশ্রুতিকে মূল্যায়ন করার জন্য প্রয়োজন তাদের সক্রিয়তা এবং দায়িত্ববোধের প্রতি নজর দেওয়া। প্রার্থীকে বিবেচনা করতে হবে তারা কি নিয়মিত এলাকায় ঝোপঝাড়, পচা ডোবা এবং এডিস মশার অন্যান্য আবাসস্থল উচ্ছেদ করেছে কিনা। পাশাপাশি মশার ঔষধ বিতরণ এবং সকালের ও সন্ধ্যার সময়ে স্প্রে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে কিনা তা মূল্যায়ন করা উচিত।
প্রার্থীকে জনগণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা নিয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কতটুকু উৎসাহ যুগিয়েছে, সেটিও নির্বাচনের সময় বিবেচনার বিষয়। দীর্ঘমেয়াদি জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা, শুধু ভোটের জন্য নয়, বরং জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা, এগুলো প্রার্থীর মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডেংগু মহামারীর এই সময়ে নির্বাচনকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে দেখা মানে জনগণের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে অবহেলা করা। ভোটারদের উচিত পরিচিতি বা দলের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রার্থীর দায়িত্ববোধ, জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং সামাজিক দায়িত্বকে বিবেচনা করে ভোট দেওয়া।
এখন সময় এসেছে, আমরা এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করব, যে কেবল নির্বাচিত হবে না, বরং জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্যকে রক্ষা করবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ ও ডেংগু প্রতিরোধ: প্রার্থী নির্বাচন এখন দায়িত্বের প্রশ্ন
সম্পাদকীয়ঃ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ সামনে এসেছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এখন প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত। তবে দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এমন সময় যে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে শুধুমাত্র ক্ষমতার লড়াই হিসেবে দেখা যায় না। সারাদেশে ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এমনভাবে বেড়েছে যে এটি এখন মহামারী রূপ ধারণ করেছে।
ডেংগু প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং সমাজসেবী সংগঠনগুলোর সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের জনসেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং ডেংগু প্রতিরোধ কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক।
নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই শুধুমাত্র রাজনৈতিক অবস্থান বা জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করা যাবে না। এ সময়ে প্রার্থীদের ক্ষমতা ও প্রতিশ্রুতিকে মূল্যায়ন করার জন্য প্রয়োজন তাদের সক্রিয়তা এবং দায়িত্ববোধের প্রতি নজর দেওয়া। প্রার্থীকে বিবেচনা করতে হবে তারা কি নিয়মিত এলাকায় ঝোপঝাড়, পচা ডোবা এবং এডিস মশার অন্যান্য আবাসস্থল উচ্ছেদ করেছে কিনা। পাশাপাশি মশার ঔষধ বিতরণ এবং সকালের ও সন্ধ্যার সময়ে স্প্রে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে কিনা তা মূল্যায়ন করা উচিত।
প্রার্থীকে জনগণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা নিয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কতটুকু উৎসাহ যুগিয়েছে, সেটিও নির্বাচনের সময় বিবেচনার বিষয়। দীর্ঘমেয়াদি জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা, শুধু ভোটের জন্য নয়, বরং জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা, এগুলো প্রার্থীর মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডেংগু মহামারীর এই সময়ে নির্বাচনকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে দেখা মানে জনগণের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে অবহেলা করা। ভোটারদের উচিত পরিচিতি বা দলের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রার্থীর দায়িত্ববোধ, জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং সামাজিক দায়িত্বকে বিবেচনা করে ভোট দেওয়া।
এখন সময় এসেছে, আমরা এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করব, যে কেবল নির্বাচিত হবে না, বরং জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্যকে রক্ষা করবে।