প্রশাসনের নীরবতায় হোটেল পদ্মায় দেহ ব্যবসা: যুব সমাজ বিপথে

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহীঃ

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন গণকপাড়া এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা এবং মাদক বেচাকেনার নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে বিভিন্ন জেলা থেকে পড়তে আসা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অবস্থান করে। তাদের একাংশ ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের প্রভাবে ধীরে ধীরে বিপথে যাচ্ছে। নগরীর কয়েকটি হোস্টেল, মেস এবং আবাসিক হোটেল তরুণ-তরুণীদের রুম ডেটের নতুন নিরাপদ জায়গায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গণকপাড়ার হোটেল পদ্মার সামনে প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ ঘন ঘন প্রবেশ ও প্রস্থান করছে। কয়েক মিনিট বা ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানে এসব ব্যক্তি বাইরে চলে যায়। আশপাশের দোকানপাট ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস ধরে প্রশাসনিক নজরদারি কমে যাওয়ায় পুরো এলাকাটি অনৈতিক ব্যবসার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।

হোটেলটির মালিক হিসেবে পরিচিত আজাদ নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে বছরের পর বছর এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় এবং নিয়মিত তদারকি বন্ধ থাকায় আবাসিক হোটেলটি দিন-রাত দেহসেবার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আগে হোটেলে অতিথিদের পরিচয় যাচাই এবং রেজিস্টার বুক মিলিয়ে দেখা হতো, এখন তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণরা বিনা বাধায় যেকোনো সময় প্রবেশ করে রুম বুকিং দিচ্ছে।

মাদক ব্যবসার পাশাপাশি দেহ ব্যবসা এলাকায় অপরাধের নতুন চক্র তৈরি করছে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় যেকোনো সময় বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে একটি প্রভাবশালী চক্র আবাসিক হোটেলকে অবৈধ আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক অভিযানেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। হোটেল মালিক কয়েকবার নাম পরিবর্তন করে এবং অবস্থান গোপন করে ফের একই ব্যবসা শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে নতুন কৌশলে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তরুণ সমাজের বড় অংশ মাদকবাজদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে এবং সামাজিক ক্ষয় গভীর হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে অভিযান জোরদার করে দেহ ব্যবসা ও মাদক নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি রাজশাহী নগরীর সব আবাসিক হোটেলে নিয়মিত তদারকি, অতিথিদের পরিচয় যাচাই এবং রেজিস্টার খাতা পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। শিক্ষা নগরীর মর্যাদা রক্ষায় গণকপাড়ায় দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রশাসনের নীরবতায় হোটেল পদ্মায় দেহ ব্যবসা: যুব সমাজ বিপথে

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহীঃ

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন গণকপাড়া এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা এবং মাদক বেচাকেনার নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে বিভিন্ন জেলা থেকে পড়তে আসা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অবস্থান করে। তাদের একাংশ ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের প্রভাবে ধীরে ধীরে বিপথে যাচ্ছে। নগরীর কয়েকটি হোস্টেল, মেস এবং আবাসিক হোটেল তরুণ-তরুণীদের রুম ডেটের নতুন নিরাপদ জায়গায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গণকপাড়ার হোটেল পদ্মার সামনে প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ ঘন ঘন প্রবেশ ও প্রস্থান করছে। কয়েক মিনিট বা ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানে এসব ব্যক্তি বাইরে চলে যায়। আশপাশের দোকানপাট ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস ধরে প্রশাসনিক নজরদারি কমে যাওয়ায় পুরো এলাকাটি অনৈতিক ব্যবসার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।

হোটেলটির মালিক হিসেবে পরিচিত আজাদ নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে বছরের পর বছর এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় এবং নিয়মিত তদারকি বন্ধ থাকায় আবাসিক হোটেলটি দিন-রাত দেহসেবার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আগে হোটেলে অতিথিদের পরিচয় যাচাই এবং রেজিস্টার বুক মিলিয়ে দেখা হতো, এখন তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণরা বিনা বাধায় যেকোনো সময় প্রবেশ করে রুম বুকিং দিচ্ছে।

মাদক ব্যবসার পাশাপাশি দেহ ব্যবসা এলাকায় অপরাধের নতুন চক্র তৈরি করছে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় যেকোনো সময় বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে একটি প্রভাবশালী চক্র আবাসিক হোটেলকে অবৈধ আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক অভিযানেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। হোটেল মালিক কয়েকবার নাম পরিবর্তন করে এবং অবস্থান গোপন করে ফের একই ব্যবসা শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে নতুন কৌশলে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তরুণ সমাজের বড় অংশ মাদকবাজদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে এবং সামাজিক ক্ষয় গভীর হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে অভিযান জোরদার করে দেহ ব্যবসা ও মাদক নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি রাজশাহী নগরীর সব আবাসিক হোটেলে নিয়মিত তদারকি, অতিথিদের পরিচয় যাচাই এবং রেজিস্টার খাতা পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। শিক্ষা নগরীর মর্যাদা রক্ষায় গণকপাড়ায় দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।