মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে মান্দার ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও ভালাইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম বেলালসহ আরও অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বলেন, মাঠপর্যায়ে যাঁরা দীর্ঘদিন সংগঠন ধরে রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং কারাবরণ করেছেন— তাঁদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করলে তা দলীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা একযোগে দাবি জানান, বহুবার কারা নির্যাতিত, সৎ, সংগঠনের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগী নেতা এম এ মতীনকেই নওগাঁ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করা হোক।
বর্তমানে এম এ মতীন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক। দীর্ঘদিনের রাজনীতি, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় উপস্থিতির কারণে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয় বলে নেতাকর্মীরা জানান।নওগাঁর ছয় আসনে বিএনপি’র ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা
এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মান্দা আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে ভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া—একদিকে এম এ মতীনের সমর্থকদের পুনর্বিবেচনার দাবি, অন্যদিকে ডা. টিপুর মনোনয়নকে ঘিরে কিছু নেতাকর্মীর উচ্ছ্বাস।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর মান্দা উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ডা. ইকরামুল বারী টিপুর বিরুদ্ধে দলীয় আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাঁর সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে এম এ মতীনসহ উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এম এ মতীনের নেতৃত্বে মান্দা বিএনপি দীর্ঘদিন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তাই তৃণমূলের দাবি উপেক্ষিত হলে সংগঠনে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
তাদের মন্তব্য, “মান্দার মাটি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত, আন্দোলনের সময় রাজপথে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন — এমন নেতাকেই প্রার্থী করা হলে বিএনপি এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।”
মান্দার ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়।
নওগাঁ-৪ আসনে বিএনপি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে মান্দার ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও ভালাইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম বেলালসহ আরও অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বলেন, মাঠপর্যায়ে যাঁরা দীর্ঘদিন সংগঠন ধরে রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং কারাবরণ করেছেন— তাঁদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করলে তা দলীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা একযোগে দাবি জানান, বহুবার কারা নির্যাতিত, সৎ, সংগঠনের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগী নেতা এম এ মতীনকেই নওগাঁ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করা হোক।
বর্তমানে এম এ মতীন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক। দীর্ঘদিনের রাজনীতি, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় উপস্থিতির কারণে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয় বলে নেতাকর্মীরা জানান।নওগাঁর ছয় আসনে বিএনপি’র ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা
এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মান্দা আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে ভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া—একদিকে এম এ মতীনের সমর্থকদের পুনর্বিবেচনার দাবি, অন্যদিকে ডা. টিপুর মনোনয়নকে ঘিরে কিছু নেতাকর্মীর উচ্ছ্বাস।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর মান্দা উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ডা. ইকরামুল বারী টিপুর বিরুদ্ধে দলীয় আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাঁর সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে এম এ মতীনসহ উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এম এ মতীনের নেতৃত্বে মান্দা বিএনপি দীর্ঘদিন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তাই তৃণমূলের দাবি উপেক্ষিত হলে সংগঠনে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
তাদের মন্তব্য, “মান্দার মাটি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত, আন্দোলনের সময় রাজপথে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন — এমন নেতাকেই প্রার্থী করা হলে বিএনপি এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।”
মান্দার ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়।