আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্সঃ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিষেক চন্দ শ্রাবণের ওপর শারীরিক হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১টার দিকে পকেট গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘আজ অভিষেক, কাল কে?’, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কোথায়?’, ‘অন্যায়ের বিচার চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের আল মাহমুদ বিন কবির নির্ঝর, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মৃদুল এবং টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের সাইদুর রহমান রাফির বহিষ্কার দাবি করেন।
হামলার শিকার অভিষেক চন্দ শ্রাবণ বলেন, “বন্ধু শেফাককে রক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎ লক্ষ্যবস্তু হয়ে যাই। কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই আমাকে দু’দিনে দু’বার আক্রমণ করা হয়। আমি বুটেক্সে দুই বছর ধরে পড়ছি—কখনো সিনিয়র কারও সঙ্গে বেয়াদবি করিনি। আমার ওপর যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চাই।”ইসকন সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের জান্নাতুন নাঈম বলেন, “র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের কথা বলা হলেও শিক্ষার্থীরা এখনও বিনা কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সিনিয়রত্বের নামে শারীরিক আঘাত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তিনি বলেন, “রবিবার শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে অশান্তি সৃষ্টিকারী কেউ ছাড় পাবে না।”
শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খান বলেন, “বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।”
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা সতর্ক করে বলেন, দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে নামবে এবং প্রয়োজন হলে আইনি লড়াইও করবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফুটবল ফিয়েস্তা ২.০’–এর ফাইনাল ম্যাচে খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণে বাধা এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। তার পরদিন ৫ নভেম্বর অভিষেক চন্দ শ্রাবণকে মারধরের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং উভয় বিষয়ের সিদ্ধান্ত রবিবার শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় ঘোষণা হবে।
বুটেক্সে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল—অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবি
আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্সঃ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিষেক চন্দ শ্রাবণের ওপর শারীরিক হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১টার দিকে পকেট গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘আজ অভিষেক, কাল কে?’, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কোথায়?’, ‘অন্যায়ের বিচার চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের আল মাহমুদ বিন কবির নির্ঝর, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মৃদুল এবং টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের সাইদুর রহমান রাফির বহিষ্কার দাবি করেন।
হামলার শিকার অভিষেক চন্দ শ্রাবণ বলেন, “বন্ধু শেফাককে রক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎ লক্ষ্যবস্তু হয়ে যাই। কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই আমাকে দু’দিনে দু’বার আক্রমণ করা হয়। আমি বুটেক্সে দুই বছর ধরে পড়ছি—কখনো সিনিয়র কারও সঙ্গে বেয়াদবি করিনি। আমার ওপর যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চাই।”ইসকন সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের জান্নাতুন নাঈম বলেন, “র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের কথা বলা হলেও শিক্ষার্থীরা এখনও বিনা কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সিনিয়রত্বের নামে শারীরিক আঘাত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তিনি বলেন, “রবিবার শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে অশান্তি সৃষ্টিকারী কেউ ছাড় পাবে না।”
শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খান বলেন, “বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।”
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা সতর্ক করে বলেন, দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে নামবে এবং প্রয়োজন হলে আইনি লড়াইও করবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফুটবল ফিয়েস্তা ২.০’–এর ফাইনাল ম্যাচে খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণে বাধা এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। তার পরদিন ৫ নভেম্বর অভিষেক চন্দ শ্রাবণকে মারধরের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং উভয় বিষয়ের সিদ্ধান্ত রবিবার শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় ঘোষণা হবে।