সুকুমার ঋষি, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সারাইগাছী মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কে দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে বিরামহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল যাত্রী ও চালকদের জিম্মি করে মূল্যবান সম্পদ লুটে নিচ্ছে। এসব ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবই সবচেয়ে বেশি হতাশার সৃষ্টি করেছে।
রবিবার সন্ধ্যা থেকেই এই সড়কের একাধিক স্থানে ধারাবাহিকভাবে ডাকাতি সংঘটিত হয়। প্রথমে বেজোড়া মোড়ের যাত্রীছাউনি এলাকায় রাস্তার ওপর বড় গাছ ফেলে কয়েকটি যানবাহন থামিয়ে লুটপাট চালানো হয়। কিছুক্ষণ পর একই এলাকার ব্রীজ সংলগ্ন অংশে আরেকবার একই কায়দায় ডাকাতি করে দলটি। এরপর রাত ৯টার দিকে বেজোড়া মোড় হতে তারেক জিয়া মোড় পর্যন্ত সড়কের আরেক স্থানে ডাকাতদল আবারও গাছ ফেলে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
রাত ১০টার দিকে ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। সড়কের পাশের সফিকুল ও রাজিবুলের দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাটের পর ডাকাতদল বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারও বেজোড়া দরগা সংলগ্ন সড়কে যানবাহন থামিয়ে লুটপাট করা হয়। স্থানীয়দের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২৫–৩০ জন ডাকাত অংশ নেয় এবং এটি অনেকদিন ধরেই একই পদ্ধতিতে ঘটছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সারাইগাছী মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়কটিতে নিয়মিত ডাকাতি হলেও থানা পুলিশের টহল তেমন দেখা যায় না। ফলে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসন জানলেও কেন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সাপাহার সার্কেলের এএসপি শ্যামলী জানান, ওই এলাকায় পুলিশ টহল আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং দ্রুত একটি সভার মাধ্যমে স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা সভায় এ সমস্যা আলোচনায় উঠে আসে এবং তিনি নিজেও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, থানা পুলিশ টহলে থাকলেও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রমাগত ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয়রা দ্রুত কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, প্রশাসনের নেই কোন ভূমিকা
পোরশায় ১০ কিমি সড়কে রাতের ডাকাতির ভয়—নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
সুকুমার ঋষি, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সারাইগাছী মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কে দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে বিরামহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল যাত্রী ও চালকদের জিম্মি করে মূল্যবান সম্পদ লুটে নিচ্ছে। এসব ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবই সবচেয়ে বেশি হতাশার সৃষ্টি করেছে।
রবিবার সন্ধ্যা থেকেই এই সড়কের একাধিক স্থানে ধারাবাহিকভাবে ডাকাতি সংঘটিত হয়। প্রথমে বেজোড়া মোড়ের যাত্রীছাউনি এলাকায় রাস্তার ওপর বড় গাছ ফেলে কয়েকটি যানবাহন থামিয়ে লুটপাট চালানো হয়। কিছুক্ষণ পর একই এলাকার ব্রীজ সংলগ্ন অংশে আরেকবার একই কায়দায় ডাকাতি করে দলটি। এরপর রাত ৯টার দিকে বেজোড়া মোড় হতে তারেক জিয়া মোড় পর্যন্ত সড়কের আরেক স্থানে ডাকাতদল আবারও গাছ ফেলে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
রাত ১০টার দিকে ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। সড়কের পাশের সফিকুল ও রাজিবুলের দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাটের পর ডাকাতদল বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারও বেজোড়া দরগা সংলগ্ন সড়কে যানবাহন থামিয়ে লুটপাট করা হয়। স্থানীয়দের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি ঘটনায় প্রায় ২৫–৩০ জন ডাকাত অংশ নেয় এবং এটি অনেকদিন ধরেই একই পদ্ধতিতে ঘটছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সারাইগাছী মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়কটিতে নিয়মিত ডাকাতি হলেও থানা পুলিশের টহল তেমন দেখা যায় না। ফলে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসন জানলেও কেন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সাপাহার সার্কেলের এএসপি শ্যামলী জানান, ওই এলাকায় পুলিশ টহল আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং দ্রুত একটি সভার মাধ্যমে স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা সভায় এ সমস্যা আলোচনায় উঠে আসে এবং তিনি নিজেও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, থানা পুলিশ টহলে থাকলেও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রমাগত ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয়রা দ্রুত কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, প্রশাসনের নেই কোন ভূমিকা