আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) দুই দিনের ব্যবধানে সংঘটিত দুটি পৃথক সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ছয়জনকে ভিন্ন অঙ্কে অর্থদণ্ড দিয়েছে। শৃঙ্খলা বোর্ডের ১৬তম সভায় বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক ক্যাম্পাস পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি বুটেক্স প্রশাসনের অন্যতম বড় শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ছাত্ররা।
প্রথম সংঘর্ষটি ঘটে ৪ নভেম্বর আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন। ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের খেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মাঠে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন খেলোয়াড় ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৮তম ও ৪৯তম ব্যাচের কয়েকজন এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়।
এর পরদিন ৫ নভেম্বর পকেট গেটের সামনে ৪৯তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরেকটি শারীরিক সংঘর্ষে তিনজন শিক্ষার্থীকে দায়ী করা হয়। প্রশাসন তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে দুই ঘটনার জন্য পৃথকভাবে শাস্তি ঘোষণা করে। প্রথম ঘটনার দায়ে মো. সাইফুল ইসলাম ও আসির সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বর্ষণ বনিক, আল-ফাহিম, আল হাজ হোসেন এবং মুশফিকুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। দ্বিতীয় দিনের ঘটনায় এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আল মাহমুদ বিন কবির নির্ঝরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, আর সাইদুর রহমান ও আব্দুল কাদের মৃদুলকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে।বুটেক্সে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল—অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবি
সাময়িক বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্তরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ক্লাস, পরীক্ষা এবং সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। দ্রুত সিদ্ধান্তের কারণে প্রশাসনের প্রতি কেউ কেউ সন্তুষ্ট হলেও কিছু শিক্ষার্থী শাস্তিকে পক্ষপাতমূলক বলেও অভিযোগ তুলেছেন। শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে পুনরায় কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রশাসনের দাবি, শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। ক্যাম্পাসে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বুটেক্সে দুই সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ছয়জনের জরিমানা
আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) দুই দিনের ব্যবধানে সংঘটিত দুটি পৃথক সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ছয়জনকে ভিন্ন অঙ্কে অর্থদণ্ড দিয়েছে। শৃঙ্খলা বোর্ডের ১৬তম সভায় বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক ক্যাম্পাস পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি বুটেক্স প্রশাসনের অন্যতম বড় শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ছাত্ররা।
প্রথম সংঘর্ষটি ঘটে ৪ নভেম্বর আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন। ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের খেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মাঠে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন খেলোয়াড় ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৮তম ও ৪৯তম ব্যাচের কয়েকজন এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়।
এর পরদিন ৫ নভেম্বর পকেট গেটের সামনে ৪৯তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরেকটি শারীরিক সংঘর্ষে তিনজন শিক্ষার্থীকে দায়ী করা হয়। প্রশাসন তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে দুই ঘটনার জন্য পৃথকভাবে শাস্তি ঘোষণা করে। প্রথম ঘটনার দায়ে মো. সাইফুল ইসলাম ও আসির সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বর্ষণ বনিক, আল-ফাহিম, আল হাজ হোসেন এবং মুশফিকুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। দ্বিতীয় দিনের ঘটনায় এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আল মাহমুদ বিন কবির নির্ঝরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, আর সাইদুর রহমান ও আব্দুল কাদের মৃদুলকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে।বুটেক্সে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল—অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবি
সাময়িক বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্তরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ক্লাস, পরীক্ষা এবং সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। দ্রুত সিদ্ধান্তের কারণে প্রশাসনের প্রতি কেউ কেউ সন্তুষ্ট হলেও কিছু শিক্ষার্থী শাস্তিকে পক্ষপাতমূলক বলেও অভিযোগ তুলেছেন। শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে পুনরায় কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রশাসনের দাবি, শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। ক্যাম্পাসে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে অনেকেই মনে করছেন।