শ্যামনগরে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মনিরুজ্জামান জুলেট, শ্যামনগর সাতক্ষীরা:

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা ও নদীভাঙনের কারণে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ও দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স-এর সহযোগিতায় অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, শ্যামনগর লিডার্স শাখা অফিসে আয়োজিত এই সভায় ফোরামের সদস্যরা উপকূলীয় সমাজকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা আজ গুরুতর হুমকির মুখে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বহু পরিবারকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় ফেলেছে। কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে বিস্তীর্ণ জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে।

সভায় ফোরামের সম্পাদক রণজিৎ কুমার বর্মনসহ বিভিন্ন প্রতিনিধি তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় দাবি তুলে ধরেন। তারা জানান, বেড়িবাঁধ মেরামত, নিরাপদ পানির উৎস সৃষ্টি, দুর্যোগ-সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা বর্তমানে জরুরি হয়ে পড়েছে। লিডার্স দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজে সহযোগিতা করে আসায় উপস্থিত বক্তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে জানানো হয়—সংস্থা সহযোগিতা করুক বা না-করুক, ফোরামের কার্যক্রম মানুষের স্বার্থে নিয়মিত চলবে।

আরোও পড়ুন – ছাতকে ব্র‍্যাকের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

সভায় উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারবিরোধী জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা, উপকূলীয় সংকট তুলে ধরে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রতি তিন মাস অন্তর ফোরামের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন যে, এসব উদ্যোগ উপকূলীয় জনগণের অধিকার রক্ষা এবং জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

শ্যামনগরে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

নভেম্বর ১৬, ২০২৫

মনিরুজ্জামান জুলেট, শ্যামনগর সাতক্ষীরা:

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা ও নদীভাঙনের কারণে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ও দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স-এর সহযোগিতায় অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, শ্যামনগর লিডার্স শাখা অফিসে আয়োজিত এই সভায় ফোরামের সদস্যরা উপকূলীয় সমাজকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা আজ গুরুতর হুমকির মুখে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বহু পরিবারকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় ফেলেছে। কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে বিস্তীর্ণ জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে।

সভায় ফোরামের সম্পাদক রণজিৎ কুমার বর্মনসহ বিভিন্ন প্রতিনিধি তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় দাবি তুলে ধরেন। তারা জানান, বেড়িবাঁধ মেরামত, নিরাপদ পানির উৎস সৃষ্টি, দুর্যোগ-সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা বর্তমানে জরুরি হয়ে পড়েছে। লিডার্স দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজে সহযোগিতা করে আসায় উপস্থিত বক্তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে জানানো হয়—সংস্থা সহযোগিতা করুক বা না-করুক, ফোরামের কার্যক্রম মানুষের স্বার্থে নিয়মিত চলবে।

আরোও পড়ুন – ছাতকে ব্র‍্যাকের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

সভায় উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারবিরোধী জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা, উপকূলীয় সংকট তুলে ধরে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রতি তিন মাস অন্তর ফোরামের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন যে, এসব উদ্যোগ উপকূলীয় জনগণের অধিকার রক্ষা এবং জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।