মাভাবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচিতে পালিত মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

মো: জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে পুরো ক্যাম্পাস ও মাজার এলাকা স্মৃতিচারণের আবহে ভরে ওঠে। ভোর থেকেই ভাসানীর অনুসারী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে মাজারপ্রাঙ্গণ জমে ওঠে।

সকালে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আখন্দের নেতৃত্বে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি ভাসানীর আদর্শে বিশ্বাসী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্থানীয় জনসাধারণ এবং ভাসানী পরিবারের সদস্যরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাজনৈতিক দলগুলো যেমন বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ এবং গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি থাকে।

মাজার এলাকা সকাল থেকেই শান্ত পরিবেশে আবেগময় হয়ে ওঠে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয় এবং আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শুধুমাত্র স্মরণ নয়, বরং মজলুম জননেতার মানবসেবা, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ও সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর আজীবন ত্যাগের বার্তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। দিনজুড়ে আলোচনা সভা, কোরআনখানি এবং ভাসানীর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদিন ধরে মাভাবিপ্রবি ও মাজারপ্রাঙ্গণে মানুষের ভিড় প্রমাণ করে, মগুলো এখনও মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এই স্মরণ অনুষ্ঠান মজলুম জননেতার আদর্শকে নতুন করে উপলব্ধি করার এক মূল্যবান সুযোগ তৈরি করেছে।

মাভাবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচিতে পালিত মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

নভেম্বর ১৭, ২০২৫

মো: জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে পুরো ক্যাম্পাস ও মাজার এলাকা স্মৃতিচারণের আবহে ভরে ওঠে। ভোর থেকেই ভাসানীর অনুসারী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে মাজারপ্রাঙ্গণ জমে ওঠে।

সকালে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আখন্দের নেতৃত্বে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি ভাসানীর আদর্শে বিশ্বাসী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্থানীয় জনসাধারণ এবং ভাসানী পরিবারের সদস্যরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাজনৈতিক দলগুলো যেমন বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ এবং গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি থাকে।

মাজার এলাকা সকাল থেকেই শান্ত পরিবেশে আবেগময় হয়ে ওঠে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয় এবং আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শুধুমাত্র স্মরণ নয়, বরং মজলুম জননেতার মানবসেবা, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ও সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর আজীবন ত্যাগের বার্তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। দিনজুড়ে আলোচনা সভা, কোরআনখানি এবং ভাসানীর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদিন ধরে মাভাবিপ্রবি ও মাজারপ্রাঙ্গণে মানুষের ভিড় প্রমাণ করে, মগুলো এখনও মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এই স্মরণ অনুষ্ঠান মজলুম জননেতার আদর্শকে নতুন করে উপলব্ধি করার এক মূল্যবান সুযোগ তৈরি করেছে।