আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) তাদের একাডেমিক পথচলার নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে এ বছরের ২৭ ডিসেম্বর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই বহুল প্রত্যাশিত আয়োজনে ক্যাম্পাসজুড়ে ইতোমধ্যে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় দশক পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বুটেক্সের একাডেমিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে ৩২তম ব্যাচ থেকে ৪৪তম ব্যাচ পর্যন্ত নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বুটেক্স ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ” থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার পর একাধিকবার সমাবর্তন আয়োজনের পরিকল্পনা হলেও বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সময় নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলেও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ার নজির রয়েছে।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর সমাবর্তন আয়োজনের কার্যক্রম আরও গতি পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাশেদা বেগম দিনা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষার পর অবশেষে প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের পথ সুগম হয়েছে। সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাও আয়োজন করা হবে, যেখানে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম ও নির্দেশনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে।
অন্যদিকে প্রথম সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছেন বলে গ্রাজুয়েটদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে উৎসাহ ও আনন্দ। বহু বছর ধরে অপেক্ষা করা শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনকে তাদের ক্যাম্পাস জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন হিসেবে দেখছেন। অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মর্যাদা এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধিতে এই সমাবর্তন বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মোট而言, বুটেক্সের এই অনুষ্ঠান শুধু গ্রাজুয়েটদের নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে ২৭ ডিসেম্বরের এই আয়োজনে নতুন অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে দেশের উচ্চশিক্ষা ও টেক্সটাইল খাতে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন: নতুন অধ্যায়ের সূচনা
আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) তাদের একাডেমিক পথচলার নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে এ বছরের ২৭ ডিসেম্বর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই বহুল প্রত্যাশিত আয়োজনে ক্যাম্পাসজুড়ে ইতোমধ্যে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় দশক পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বুটেক্সের একাডেমিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে ৩২তম ব্যাচ থেকে ৪৪তম ব্যাচ পর্যন্ত নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বুটেক্স ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ” থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার পর একাধিকবার সমাবর্তন আয়োজনের পরিকল্পনা হলেও বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সময় নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলেও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ার নজির রয়েছে।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর সমাবর্তন আয়োজনের কার্যক্রম আরও গতি পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাশেদা বেগম দিনা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষার পর অবশেষে প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের পথ সুগম হয়েছে। সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাও আয়োজন করা হবে, যেখানে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম ও নির্দেশনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে।
অন্যদিকে প্রথম সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছেন বলে গ্রাজুয়েটদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে উৎসাহ ও আনন্দ। বহু বছর ধরে অপেক্ষা করা শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনকে তাদের ক্যাম্পাস জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন হিসেবে দেখছেন। অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মর্যাদা এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধিতে এই সমাবর্তন বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মোট而言, বুটেক্সের এই অনুষ্ঠান শুধু গ্রাজুয়েটদের নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে ২৭ ডিসেম্বরের এই আয়োজনে নতুন অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে দেশের উচ্চশিক্ষা ও টেক্সটাইল খাতে।