সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের সাঁড়াশি অভিযান: অস্ত্রসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য গ্রেপ্তার

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট জেলার মোংলা উপকূলের পশুর নদী সংলগ্ন ভাইজোড়া খালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে করিম শরীফ বাহিনী নামক কুখ্যাত জলদস্যু চক্রের দুই সহযোগীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে পরিচালিত এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গোলাবারুদও।

কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল, চর ও নদীপথকে ব্যবহার করে করিম শরীফ বাহিনী ডাকাতি, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। স্থানীয় জেলে ও বনজীবীরা তাঁদের কাছে নিয়মিত চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হচ্ছিল। সম্প্রতি বাহিনীটির কয়েক সদস্য পশুর নদীর পাশের ভাইজোড়া খালে অবস্থান করছে—এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও স্টেশন হারবাড়িয়ার সদস্যরা যৌথভাবে ভোর ৬টায় এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানে ১টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ উদ্ধার হয়। আটক ফারুক বেপারী (৩০) ও ইমদাদুল বেপারী (২৭) দু’জনই বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার বাসিন্দা। তারা করিম শরীফ বাহিনীকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নৌ–রসদ সরবরাহ করাসহ দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি অভিযানে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, সুন্দরবনে জলদস্যু দমন এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় নিয়মিত সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিক অভিযানের ফলে সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা ও নদীপথ অনেকটাই নিরাপদ হয়ে উঠেছে। জেলে ও বনজীবীদের অভিযোগও কমে এসেছে, ফলে তারা এখন নিরাপদে মাছ ধরা ও বনজ সম্পদ আহরণ করতে পারছেন।

অভিযানে আটক দুই সহযোগীকে মোংলা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও আলামত আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দ করা হবে। কোস্ট গার্ডের দাবি, এমন অভিযান ভবিষ্যতে ডাকাত চক্রের তৎপরতা আরও কমিয়ে আনবে এবং সুন্দরবনকে সম্পূর্ণভাবে দস্যুমুক্ত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।

সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের সাঁড়াশি অভিযান: অস্ত্রসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্য গ্রেপ্তার

নভেম্বর ২৯, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট জেলার মোংলা উপকূলের পশুর নদী সংলগ্ন ভাইজোড়া খালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে করিম শরীফ বাহিনী নামক কুখ্যাত জলদস্যু চক্রের দুই সহযোগীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে পরিচালিত এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গোলাবারুদও।

কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল, চর ও নদীপথকে ব্যবহার করে করিম শরীফ বাহিনী ডাকাতি, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। স্থানীয় জেলে ও বনজীবীরা তাঁদের কাছে নিয়মিত চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হচ্ছিল। সম্প্রতি বাহিনীটির কয়েক সদস্য পশুর নদীর পাশের ভাইজোড়া খালে অবস্থান করছে—এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ও স্টেশন হারবাড়িয়ার সদস্যরা যৌথভাবে ভোর ৬টায় এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানে ১টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ উদ্ধার হয়। আটক ফারুক বেপারী (৩০) ও ইমদাদুল বেপারী (২৭) দু’জনই বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার বাসিন্দা। তারা করিম শরীফ বাহিনীকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নৌ–রসদ সরবরাহ করাসহ দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি অভিযানে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, সুন্দরবনে জলদস্যু দমন এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় নিয়মিত সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিক অভিযানের ফলে সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা ও নদীপথ অনেকটাই নিরাপদ হয়ে উঠেছে। জেলে ও বনজীবীদের অভিযোগও কমে এসেছে, ফলে তারা এখন নিরাপদে মাছ ধরা ও বনজ সম্পদ আহরণ করতে পারছেন।

অভিযানে আটক দুই সহযোগীকে মোংলা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও আলামত আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দ করা হবে। কোস্ট গার্ডের দাবি, এমন অভিযান ভবিষ্যতে ডাকাত চক্রের তৎপরতা আরও কমিয়ে আনবে এবং সুন্দরবনকে সম্পূর্ণভাবে দস্যুমুক্ত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।