হিজরাদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে দিশেহারা কামরাঙ্গীরচরের ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হিজরাদের চাঁদাবাজি ও নানাবিধ অত্যাচারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাজার-ঘাট, দোকানপাট কিংবা বাসাবাড়িতে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর খবর পেলে দলবেঁধে এসে জোরপূর্বক টাকা দাবি করা এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নিয়মিত টাকা না দিলে দোকানে উৎপাত করা, ক্রেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, এমনকি দোকান ভাঙচুরের হুমকিও দেওয়া হয়। এতে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

অন্যদিকে সদ্য সন্তান জন্ম নেওয়া পরিবারগুলোও আতঙ্কে রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, হিজরারা টাকা না দিলে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপমানজনক আচরণ করে থাকে। ফলে আনন্দের মুহূর্তও ভয়ে-আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে এসব পরিবারকে।

এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনই কেউ না কেউ তাদের অসভ্যতা ও অপমানের শিকার হচ্ছেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা দলবেঁধে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অসম্মান করে। এতে স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে, এমনকি অনেক পুরুষও নারীদের পোশাক পরে হিজরা সেজে এ চাঁদাবাজির কাজে জড়াচ্ছে এবং লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। বিশেষ করে ঈদ কিংবা বছরের বিশেষ দিবসে রঙিন পোশাকে সাজসজ্জা করে সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে দোকানপাটে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক আদায় করা হয়। কেউ কম দিতে চাইলে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমানের শিকার হতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, এ অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটাতে হলে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নেওয়া জরুরি। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

হিজরাদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে দিশেহারা কামরাঙ্গীরচরের ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলো

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হিজরাদের চাঁদাবাজি ও নানাবিধ অত্যাচারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাজার-ঘাট, দোকানপাট কিংবা বাসাবাড়িতে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর খবর পেলে দলবেঁধে এসে জোরপূর্বক টাকা দাবি করা এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নিয়মিত টাকা না দিলে দোকানে উৎপাত করা, ক্রেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, এমনকি দোকান ভাঙচুরের হুমকিও দেওয়া হয়। এতে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

অন্যদিকে সদ্য সন্তান জন্ম নেওয়া পরিবারগুলোও আতঙ্কে রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, হিজরারা টাকা না দিলে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপমানজনক আচরণ করে থাকে। ফলে আনন্দের মুহূর্তও ভয়ে-আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে এসব পরিবারকে।

এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনই কেউ না কেউ তাদের অসভ্যতা ও অপমানের শিকার হচ্ছেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা দলবেঁধে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অসম্মান করে। এতে স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে, এমনকি অনেক পুরুষও নারীদের পোশাক পরে হিজরা সেজে এ চাঁদাবাজির কাজে জড়াচ্ছে এবং লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। বিশেষ করে ঈদ কিংবা বছরের বিশেষ দিবসে রঙিন পোশাকে সাজসজ্জা করে সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে দোকানপাটে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক আদায় করা হয়। কেউ কম দিতে চাইলে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমানের শিকার হতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, এ অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটাতে হলে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নেওয়া জরুরি। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।