নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া মোড় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মূল প্রবেশপথে এ সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে পুরো শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে।
ট্রাফিক মনিটরিং সেলে নিয়োজিত শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত জানান, “আমরা গত এক মাস ধরে চেম্বার অব কমার্স ও বিকেএমইএর সহযোগিতায় শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বড় অটোরিকশা ও ইজিবাইক চাষাঢ়া এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু কিছু চালক নিয়ম অমান্য করে প্রবেশ করেন। তাদের থামাতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
অন্যদিকে ইজিবাইক চালক মো. উজ্জ্বল বলেন, “আমরা চাষাঢ়ায় যাওয়ার নিয়ম ভেঙেছি, সেটা অপরাধ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের অটোরিকশার কাচ ভেঙেছে। কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের মারধর করে। এ ঘটনায় কয়েকজন চালককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।”
দীর্ঘ অবরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হলে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক নেতারা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সমাধান হয়েছে। উভয় পক্ষ জেলা প্রশাসনের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
শহরের যানজট নিরসনে কয়েক সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের একটি দল স্বেচ্ছাসেবীভাবে কাজ শুরু করে। স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স ও বিকেএমই তাদের সহায়তা করে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা কাজ করছিলেন। তবে বুধবারের ঘটনায় এ উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের সচেতনতা ও চালকদের নিয়ম মেনে চলা জরুরি। প্রশাসন, শিক্ষার্থী ও চালকদের মধ্যে সমন্বয় থাকলে এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া মোড় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মূল প্রবেশপথে এ সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে পুরো শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে।
ট্রাফিক মনিটরিং সেলে নিয়োজিত শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত জানান, “আমরা গত এক মাস ধরে চেম্বার অব কমার্স ও বিকেএমইএর সহযোগিতায় শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বড় অটোরিকশা ও ইজিবাইক চাষাঢ়া এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু কিছু চালক নিয়ম অমান্য করে প্রবেশ করেন। তাদের থামাতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
অন্যদিকে ইজিবাইক চালক মো. উজ্জ্বল বলেন, “আমরা চাষাঢ়ায় যাওয়ার নিয়ম ভেঙেছি, সেটা অপরাধ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের অটোরিকশার কাচ ভেঙেছে। কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের মারধর করে। এ ঘটনায় কয়েকজন চালককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।”
দীর্ঘ অবরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হলে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক নেতারা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সমাধান হয়েছে। উভয় পক্ষ জেলা প্রশাসনের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
শহরের যানজট নিরসনে কয়েক সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের একটি দল স্বেচ্ছাসেবীভাবে কাজ শুরু করে। স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স ও বিকেএমই তাদের সহায়তা করে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা কাজ করছিলেন। তবে বুধবারের ঘটনায় এ উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের সচেতনতা ও চালকদের নিয়ম মেনে চলা জরুরি। প্রশাসন, শিক্ষার্থী ও চালকদের মধ্যে সমন্বয় থাকলে এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।