ক্যাম্পাসে পরকীয়া কেলেঙ্কারি: অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ল ২ সন্তানের জননী

মো: জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এলাকায় পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে ২ সন্তানের জননীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে ওই নারী এবং তার কথিত প্রেমিককে শিক্ষার্থীরা দেখতে পায়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় তারা দুজনকে ঘিরে প্রক্টর অফিসে পৌঁছে দেয়। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া ওই নারীর নাম কাজল বেগম। বয়স ২৫ বছর, এবং দুই সন্তানের জননী। তাঁর স্বামীর নাম রুবেল মিয়া, বাসা টাঙ্গাইলের সন্তোষ এলাকায়। অপরদিকে আটক যুবক বিপ্লব মিয়ার বয়স ২৫ বছর, বাড়ি মির্জাপুরের চামার ফতেহপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্র বলছে, তারা একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দেখা করতেন এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আচরণে সন্দেহজনক বিষয় লক্ষ্য করেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনে।

পরকীয়া নিয়ে সামাজিক উত্তাপ এবং শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা—দুই দিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রশাসনের মতে, ২ সন্তানের জননী হওয়ার পরও এ ধরনের পরকীয়ায় জড়িত থাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উন্মুক্ত স্থানে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের চলাফেরা এবং পড়াশোনার পরিবেশ যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে পরকীয়ার মতো ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রকাশ্য আচরণ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।

ঘটনার সময় প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়ে দেন। প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর আচরণ বা পরকীয়ার মতো সম্পর্কের প্রদর্শন মেনে নেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের অপব্যবহার শিক্ষাঙ্গনের মর্যাদা নষ্ট করে এবং তা সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত হানে।

একই সময়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রক্টর অফিসে আটক দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে তাদের সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, পরকীয়ার বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া এবং জনসমক্ষে আচরণ আইনগত প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্য সম্পর্কে জড়ানো—পরিবারের ক্ষতি তো বটেই, সামাজিক নৈতিকতারও অবমাননা।

ঘটনার পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে একাডেমিক ভবনের আশপাশ ও খোলা জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, পরকীয়া সম্পর্ক সমাজে পরিবার ভাঙনের পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে। বিশেষ করে ২ সন্তানের জননী হয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া—এটি সমাজে নেতিবাচক বার্তা দেয়। তাই এমন আচরণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসের মর্যাদা রক্ষায় নিয়মিত মনিটরিং চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন। সতর্কতা এবং শৃঙ্খলাই পারে ভবিষ্যতে পরকীয়ার মতো সম্পর্কের অপপ্রভাব থামাতে।

এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, পরিবার থাকা সত্ত্বেও পরকীয়ায় জড়িত হয়ে প্রকাশ্যে ধরা পড়া লজ্জাজনক এবং পরিবার-সমাজ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে দুই সন্তানের মা হয়েও এমন আচরণ—সন্তানদের ভবিষ্যতের প্রতি দায়িত্বহীনতা তুলে ধরে।

তদন্তের পর আটক দুজনের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

ক্যাম্পাসে পরকীয়া কেলেঙ্কারি: অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ল ২ সন্তানের জননী

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫

মো: জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এলাকায় পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে ২ সন্তানের জননীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে ওই নারী এবং তার কথিত প্রেমিককে শিক্ষার্থীরা দেখতে পায়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় তারা দুজনকে ঘিরে প্রক্টর অফিসে পৌঁছে দেয়। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া ওই নারীর নাম কাজল বেগম। বয়স ২৫ বছর, এবং দুই সন্তানের জননী। তাঁর স্বামীর নাম রুবেল মিয়া, বাসা টাঙ্গাইলের সন্তোষ এলাকায়। অপরদিকে আটক যুবক বিপ্লব মিয়ার বয়স ২৫ বছর, বাড়ি মির্জাপুরের চামার ফতেহপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্র বলছে, তারা একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দেখা করতেন এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আচরণে সন্দেহজনক বিষয় লক্ষ্য করেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনে।

পরকীয়া নিয়ে সামাজিক উত্তাপ এবং শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা—দুই দিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রশাসনের মতে, ২ সন্তানের জননী হওয়ার পরও এ ধরনের পরকীয়ায় জড়িত থাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উন্মুক্ত স্থানে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের চলাফেরা এবং পড়াশোনার পরিবেশ যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে পরকীয়ার মতো ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রকাশ্য আচরণ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।

ঘটনার সময় প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়ে দেন। প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর আচরণ বা পরকীয়ার মতো সম্পর্কের প্রদর্শন মেনে নেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের অপব্যবহার শিক্ষাঙ্গনের মর্যাদা নষ্ট করে এবং তা সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত হানে।

একই সময়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রক্টর অফিসে আটক দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে তাদের সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, পরকীয়ার বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া এবং জনসমক্ষে আচরণ আইনগত প্রশ্ন তৈরি করতে পারে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্য সম্পর্কে জড়ানো—পরিবারের ক্ষতি তো বটেই, সামাজিক নৈতিকতারও অবমাননা।

ঘটনার পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে একাডেমিক ভবনের আশপাশ ও খোলা জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, পরকীয়া সম্পর্ক সমাজে পরিবার ভাঙনের পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে। বিশেষ করে ২ সন্তানের জননী হয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়া—এটি সমাজে নেতিবাচক বার্তা দেয়। তাই এমন আচরণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসের মর্যাদা রক্ষায় নিয়মিত মনিটরিং চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন। সতর্কতা এবং শৃঙ্খলাই পারে ভবিষ্যতে পরকীয়ার মতো সম্পর্কের অপপ্রভাব থামাতে।

এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, পরিবার থাকা সত্ত্বেও পরকীয়ায় জড়িত হয়ে প্রকাশ্যে ধরা পড়া লজ্জাজনক এবং পরিবার-সমাজ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে দুই সন্তানের মা হয়েও এমন আচরণ—সন্তানদের ভবিষ্যতের প্রতি দায়িত্বহীনতা তুলে ধরে।

তদন্তের পর আটক দুজনের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।