শাহরিয়ার খান নাফিজ, হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং-হবিগঞ্জ সংযোগ সড়কে রত্না নদীর ওপর অবস্থিত পুরনো স্টিলের ব্রিজ আবারও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে বালু ও পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ওই ব্রিজ পার হওয়ার সময় ভারসাম্য হারিয়ে আটকে পড়ে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ট্রাকের একটি চাকা সেতুর পাটাতনে দেবে যায় এবং ব্রিজের কাঠামোর একটি অংশ নষ্ট হয়। এতে ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচলরত সব ধরনের যানবাহন উভয় দিকেই আটকে পড়ে, তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট।
দুর্ঘটনার ফলে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্স আটকে যাওয়ায় একজন রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে সড়কটি অচল হয়ে থাকে। ব্রিজের ওপর ভারী যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিদিনই পাথর, বালু ও ইটবোঝাই ট্রাকগুলো নিয়ম ভেঙে এই সেতু ব্যবহার করছে। ফলে সেতুটির ক্ষতি আরও বাড়ছে এবং ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য।
বানিয়াচং এলাকায় যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজই একমাত্র সড়কপথ। রোগী, কর্মজীবী মানুষ, পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এই ব্রিজ ব্যবহার করেন। বছরের পর বছর ধরে ব্রিজের দুরাবস্থা জানা সত্ত্বেও মেরামত বা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বর্ষাকালে যখন পানির চাপ বৃদ্ধি পায়, তখন ব্রিজের অবস্থাও আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
ঘটনার পর এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবি করছেন, দ্রুত এ পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ অপসারণ করে কংক্রিটের একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হোক। তাদের মতে, সঠিক নজরদারি থাকলে ভারী গাড়ি সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারত না। প্রশাসনের কঠোর তদারকি এবং নিয়ম কানুন মেনে চললে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
এলাকাবাসী নতুন সেতুর দাবি বহুবার জানালেও এখনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাদের আশা, রত্না নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পরিবর্তে একটি আধুনিক ও টেকসই সেতু নির্মিত হলে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে এবং স্থানীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হয়ে উঠবে।
বানিয়াচংবাসীর একমাত্র সড়কে ঝুঁকি: ট্রাক আটকে ঘণ্টাব্যাপী ভোগান্তি
শাহরিয়ার খান নাফিজ, হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং-হবিগঞ্জ সংযোগ সড়কে রত্না নদীর ওপর অবস্থিত পুরনো স্টিলের ব্রিজ আবারও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে বালু ও পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ওই ব্রিজ পার হওয়ার সময় ভারসাম্য হারিয়ে আটকে পড়ে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ট্রাকের একটি চাকা সেতুর পাটাতনে দেবে যায় এবং ব্রিজের কাঠামোর একটি অংশ নষ্ট হয়। এতে ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচলরত সব ধরনের যানবাহন উভয় দিকেই আটকে পড়ে, তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট।
দুর্ঘটনার ফলে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্স আটকে যাওয়ায় একজন রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে সড়কটি অচল হয়ে থাকে। ব্রিজের ওপর ভারী যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিদিনই পাথর, বালু ও ইটবোঝাই ট্রাকগুলো নিয়ম ভেঙে এই সেতু ব্যবহার করছে। ফলে সেতুটির ক্ষতি আরও বাড়ছে এবং ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য।
বানিয়াচং এলাকায় যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজই একমাত্র সড়কপথ। রোগী, কর্মজীবী মানুষ, পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এই ব্রিজ ব্যবহার করেন। বছরের পর বছর ধরে ব্রিজের দুরাবস্থা জানা সত্ত্বেও মেরামত বা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বর্ষাকালে যখন পানির চাপ বৃদ্ধি পায়, তখন ব্রিজের অবস্থাও আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
ঘটনার পর এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবি করছেন, দ্রুত এ পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ অপসারণ করে কংক্রিটের একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হোক। তাদের মতে, সঠিক নজরদারি থাকলে ভারী গাড়ি সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারত না। প্রশাসনের কঠোর তদারকি এবং নিয়ম কানুন মেনে চললে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
এলাকাবাসী নতুন সেতুর দাবি বহুবার জানালেও এখনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাদের আশা, রত্না নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পরিবর্তে একটি আধুনিক ও টেকসই সেতু নির্মিত হলে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে এবং স্থানীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হয়ে উঠবে।