বিদেশী অপারেটরের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর দিলে সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে: স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি

সেলিম মাহবুবঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম বিদেশী পোর্ট অপারেটরের হাতে হস্তান্তরকে দেশের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে শিক্ষার্থী সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি। সংগঠনটির ধারণা, বিদেশী স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক শক্তির চাপের ফলে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। তাদের মতে, বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক রুট-সংযোগের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ, রাষ্ট্রীয় নীতি-পর্যায়ে কিছু উপদেষ্টা এবং নীতিনির্ধারক বিদেশী অপারেটরের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। স্থানীয় অপারেটর ও বন্দর কর্মীদের সক্ষমতা নাকচ করে বিদেশী কোম্পানির প্রশংসা—এ ধরণের মনোভাবকে তারা বিপজ্জনক মনে করছে। সংগঠনের মতে, কোনো বিদেশী কোম্পানি বা রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সাহায্য করলে তা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বিনিময়ে হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা অদক্ষতা যদি থাকে, তাহলে সেটি মোকাবিলা করার দায়িত্ব সরকারের। প্রয়োজন অনুযায়ী তদন্ত, অপারেশন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনিয়ম রোধ করা সম্ভব। কিন্তু সরকার যদি সেই অনিয়মের যুক্তিকে সামনে এনে বিদেশী অপারেটরের কাছে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী হয়ে দাঁড়াবে।

I2U2 চুক্তি ও কৌশলগত ঝুঁকি

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত I2U2 (India, Israel, UAE, USA) মাল্টিলেটারাল কাঠামোর উপস্থিতি বাংলাদেশে নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করতে পারে। যদি চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডের মতো কোনো বিদেশী অপারেটরের হাতে পরিচালিত হয়, তাহলে মাল্টিলেটারাল সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর কৌশলগত প্রভাব বন্দর এলাকায় নিশ্চিত হবে।

তাদের মতে, ভারত, আমেরিকা, ইজরাইল ও আরব আমিরাত যেকোনো পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক সুবিধার পাশাপাশি কৌশলগত পজিশন নিতে পারে, যা বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বন্দর নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের শক্তির উৎস এবং কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে সেই উৎস যদি বিদেশেদের হাতে যায়, তবে তা দেশের নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি, রপ্তানি কাঠামো এবং বিনিয়োগ প্রবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অর্থনীতি ও রিজার্ভ ক্ষতির চিত্র

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে নিউমুরিং টার্মিনালে প্রতিটি কন্টেইনারে গড়ে প্রায় ১১৯ ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যুক্ত হয়। এ অর্থ সরকারি আয় হিসেবে বন্দর পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু যদি নতুন টার্মিনাল বিদেশীয় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে যায়, তাহলে সেই আয় কমে মাত্র ২১ ডলার হতে পারে, যা প্রতি কন্টেইনারে ৯৮ ডলার ক্ষতির সমান।

এভাবে যদি প্রতিবছর লাখ লাখ কন্টেইনার বিদেশী কোম্পানির অধীনে যায়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভে কোটি কোটি ডলার ঘাটতি তৈরি হবে। সেই অর্থ বিদেশী অপারেটর তাদের নিজস্ব বিনিয়োগ, পরিচালনা ও মুনাফা হিসেবে নিয়ে যাবে।

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি মনে করে, বিদেশী কোম্পানিগুলো ট্যারিফ বাড়ানোর অধিকার পেয়ে গেলে দেশের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, আমদানীকারক এবং সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যচাপ তৈরি হবে। দেশের শিল্পায়ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলবে, কারণ বন্দর-নির্ভর কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যাবে।

প্রোপাগান্ডা ও তথ্য বিভ্রাট

সংগঠনটি দাবি করে, কিছু প্রচারমাধ্যম ও উপদেষ্টা দেশের সাধারণ মানুষের সামনে ভুল তথ্য তুলে ধরছে। তারা বলছে, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো উন্নত বন্দর বিদেশী কোম্পানির হাতে পরিচালিত হয়—এমন দাবি বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই।

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি বলছে, সিঙ্গাপুরে কোনো কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশী অপারেটরের হাতে নেই। একইভাবে ভিয়েতনামে টার্মিনাল উন্নয়নে বিদেশী বিনিয়োগ থাকলেও সরাসরি বিদেশীদের কাছে পুরো ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করা হয়নি। আফ্রিকার কিছু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশ বিদেশী কোম্পানিকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দিলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা ও কৌশলগত অবস্থান আফ্রিকার সঙ্গে তুলনীয় নয়।

বিকল্প মডেল: বিকেন্দ্রীকরণ ও নদী-বন্দর উন্নয়ন

প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, বাংলাদেশ যদি অর্থনীতিকে ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, তাহলে বিদেশী কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ না দিয়ে বন্দর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। চীনের বন্দর এবং নদী-ভিত্তিক ট্রেড-মডেলকে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তারা।

তাদের মতে, শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দর নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন সমুদ্রবন্দর এবং নদীপথে মাল্টিপল বন্দর নির্মাণ করলে জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হবে। নদীশূন্য এলাকায় রেল সংযোগ দিলে বন্দর-নির্ভর শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং তৃণমূল থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তৈরি হবে।

সংবর্ধনায় জানানো হয়, “পোর্ট অপারেটিং” এখন বাংলাদেশের বড় শিল্প। দেশীয় শিল্পকে সীমাবদ্ধ রেখে বিদেশী অপারেটরকে আনলে দেশীয় সক্ষমতা ধ্বংস হবে। বরং বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে বন্দর পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করে, তাহলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক আয়ে নতুন উৎস সৃষ্টি করা যাবে।

মূল দাবি

সংগঠনটি সরকারের কাছে দুটি প্রধান দাবি জানিয়েছে:
১. নিউমুরিং টার্মিনাল ডিপি ওয়ার্ল্ড-লিজ প্রক্রিয়া বাতিল
২. লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনাল চুক্তি বাতিল

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক, যুগ্ম আহবায়ক মুহিউদ্দিন রাহাত, দপ্তর সদস্য সাইফুল ইসলাম, জুবায়েদুল ইসলাম শিহাব, জাবির বিন মাহবুব এবং আব্দুল্লাহ আল মাহিন উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশী অপারেটরের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর দিলে সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে: স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫

সেলিম মাহবুবঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম বিদেশী পোর্ট অপারেটরের হাতে হস্তান্তরকে দেশের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে শিক্ষার্থী সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি। সংগঠনটির ধারণা, বিদেশী স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক শক্তির চাপের ফলে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। তাদের মতে, বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক রুট-সংযোগের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ, রাষ্ট্রীয় নীতি-পর্যায়ে কিছু উপদেষ্টা এবং নীতিনির্ধারক বিদেশী অপারেটরের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। স্থানীয় অপারেটর ও বন্দর কর্মীদের সক্ষমতা নাকচ করে বিদেশী কোম্পানির প্রশংসা—এ ধরণের মনোভাবকে তারা বিপজ্জনক মনে করছে। সংগঠনের মতে, কোনো বিদেশী কোম্পানি বা রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সাহায্য করলে তা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বিনিময়ে হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা অদক্ষতা যদি থাকে, তাহলে সেটি মোকাবিলা করার দায়িত্ব সরকারের। প্রয়োজন অনুযায়ী তদন্ত, অপারেশন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনিয়ম রোধ করা সম্ভব। কিন্তু সরকার যদি সেই অনিয়মের যুক্তিকে সামনে এনে বিদেশী অপারেটরের কাছে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী হয়ে দাঁড়াবে।

I2U2 চুক্তি ও কৌশলগত ঝুঁকি

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত I2U2 (India, Israel, UAE, USA) মাল্টিলেটারাল কাঠামোর উপস্থিতি বাংলাদেশে নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করতে পারে। যদি চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডের মতো কোনো বিদেশী অপারেটরের হাতে পরিচালিত হয়, তাহলে মাল্টিলেটারাল সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর কৌশলগত প্রভাব বন্দর এলাকায় নিশ্চিত হবে।

তাদের মতে, ভারত, আমেরিকা, ইজরাইল ও আরব আমিরাত যেকোনো পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক সুবিধার পাশাপাশি কৌশলগত পজিশন নিতে পারে, যা বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বন্দর নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের শক্তির উৎস এবং কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে সেই উৎস যদি বিদেশেদের হাতে যায়, তবে তা দেশের নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি, রপ্তানি কাঠামো এবং বিনিয়োগ প্রবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অর্থনীতি ও রিজার্ভ ক্ষতির চিত্র

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে নিউমুরিং টার্মিনালে প্রতিটি কন্টেইনারে গড়ে প্রায় ১১৯ ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যুক্ত হয়। এ অর্থ সরকারি আয় হিসেবে বন্দর পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু যদি নতুন টার্মিনাল বিদেশীয় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে যায়, তাহলে সেই আয় কমে মাত্র ২১ ডলার হতে পারে, যা প্রতি কন্টেইনারে ৯৮ ডলার ক্ষতির সমান।

এভাবে যদি প্রতিবছর লাখ লাখ কন্টেইনার বিদেশী কোম্পানির অধীনে যায়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভে কোটি কোটি ডলার ঘাটতি তৈরি হবে। সেই অর্থ বিদেশী অপারেটর তাদের নিজস্ব বিনিয়োগ, পরিচালনা ও মুনাফা হিসেবে নিয়ে যাবে।

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি মনে করে, বিদেশী কোম্পানিগুলো ট্যারিফ বাড়ানোর অধিকার পেয়ে গেলে দেশের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, আমদানীকারক এবং সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যচাপ তৈরি হবে। দেশের শিল্পায়ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলবে, কারণ বন্দর-নির্ভর কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যাবে।

প্রোপাগান্ডা ও তথ্য বিভ্রাট

সংগঠনটি দাবি করে, কিছু প্রচারমাধ্যম ও উপদেষ্টা দেশের সাধারণ মানুষের সামনে ভুল তথ্য তুলে ধরছে। তারা বলছে, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো উন্নত বন্দর বিদেশী কোম্পানির হাতে পরিচালিত হয়—এমন দাবি বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই।

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি বলছে, সিঙ্গাপুরে কোনো কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশী অপারেটরের হাতে নেই। একইভাবে ভিয়েতনামে টার্মিনাল উন্নয়নে বিদেশী বিনিয়োগ থাকলেও সরাসরি বিদেশীদের কাছে পুরো ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করা হয়নি। আফ্রিকার কিছু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশ বিদেশী কোম্পানিকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দিলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা ও কৌশলগত অবস্থান আফ্রিকার সঙ্গে তুলনীয় নয়।

বিকল্প মডেল: বিকেন্দ্রীকরণ ও নদী-বন্দর উন্নয়ন

প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, বাংলাদেশ যদি অর্থনীতিকে ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, তাহলে বিদেশী কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ না দিয়ে বন্দর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। চীনের বন্দর এবং নদী-ভিত্তিক ট্রেড-মডেলকে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তারা।

তাদের মতে, শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দর নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন সমুদ্রবন্দর এবং নদীপথে মাল্টিপল বন্দর নির্মাণ করলে জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হবে। নদীশূন্য এলাকায় রেল সংযোগ দিলে বন্দর-নির্ভর শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং তৃণমূল থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তৈরি হবে।

সংবর্ধনায় জানানো হয়, “পোর্ট অপারেটিং” এখন বাংলাদেশের বড় শিল্প। দেশীয় শিল্পকে সীমাবদ্ধ রেখে বিদেশী অপারেটরকে আনলে দেশীয় সক্ষমতা ধ্বংস হবে। বরং বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে বন্দর পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করে, তাহলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক আয়ে নতুন উৎস সৃষ্টি করা যাবে।

মূল দাবি

সংগঠনটি সরকারের কাছে দুটি প্রধান দাবি জানিয়েছে:
১. নিউমুরিং টার্মিনাল ডিপি ওয়ার্ল্ড-লিজ প্রক্রিয়া বাতিল
২. লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনাল চুক্তি বাতিল

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক, যুগ্ম আহবায়ক মুহিউদ্দিন রাহাত, দপ্তর সদস্য সাইফুল ইসলাম, জুবায়েদুল ইসলাম শিহাব, জাবির বিন মাহবুব এবং আব্দুল্লাহ আল মাহিন উপস্থিত ছিলেন।