নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশে রন্ধনশিল্প সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নারীরা এই শিল্পকে তাদের নেশা ও পেশা উভয় হিসেবেই গ্রহণ করছেন। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের নারীরা রন্ধনশিল্পে যুক্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। রন্ধনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ। পাশাপাশি সরকারি পর্যায়েও পর্যটন কর্পোরেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রন্ধনশিল্প দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে শিল্পটি বিস্তারের সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তির অপকর্ম ও ব্যক্তিস্বার্থ অনুসরণের প্রবণতা দিন দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নারী-প্রধান এই অঙ্গনে কিছু অর্থলোভী নারী রন্ধনশিল্পের নাম ব্যবহার করে নানা অবৈধ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছেন। অভিযোগ রয়েছে, রন্ধনশিল্পের সাইনবোর্ডের আড়ালে কেউ কেউ নারী ব্যবসা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্পন্সরের নামে চাঁদাবাজি এবং প্রভাব বিস্তার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে কিছু প্রভাবশালী নারী যাদের অতীত রাজনৈতিক দাপট ছিল যথেষ্ট বিতর্কিত।
এই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক জাহিদা বেগম। নিজেকে ‘রন্ধনমাতা’ পরিচয়ে তুলে ধরে তিনি গত সরকারের আমলে পর্যটন কর্পোরেশনের বিভিন্ন সুবিধা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মুজিব বর্ষে ১০০ কেজি ওজনের কেক তৈরি করে তিনি আলোচনায় এলেও এর আড়ালে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সংযোগ ব্যবহার করে বিরাট সুবিধা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
আরোও পড়ুন – নেত্রকোনায় একই সনদে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি, শিক্ষিকা কামরুন্নাহারকে ঘিরে তদন্তে নতুন তথ্য

সরকারি চাকরির নীতিমালা অমান্য করে তিনি নাকি ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তুলেছেন আরেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যার নাম সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। ন্যাশনাল শব্দটি বাদ দিয়ে তিনি পরিচালনা করছেন ‘হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’। এতে সাধারণ মানুষ সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেবে প্রতারিত হচ্ছে। অভিযোগ আছে, তার স্বামী, পর্যটন কর্পোরেশনের উপব্যবস্থাপক শেখ মেহেদী এই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে অবৈধ প্রমোশনসহ নানা সুবিধা নিয়েছেন বলে রন্ধনশিল্প অঙ্গনের একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলানোর পরেও তিনি নাকি মন্ত্রণালয় ও কর্পোরেশনের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রন্ধনশিল্পী জানিয়েছেন, জাহিদা বেগমের মতো ব্যক্তিদের স্বার্থান্বেষী কর্মকাণ্ডের কারণে প্রকৃত রন্ধনবিদরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং শিল্পটির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তারা মনে করেন, রন্ধনশিল্পের প্রসারের পথে এই ধরনের প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রন্ধনশিল্পী জাহিদাকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় রন্ধনশিল্প অঙ্গন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশে রন্ধনশিল্প সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নারীরা এই শিল্পকে তাদের নেশা ও পেশা উভয় হিসেবেই গ্রহণ করছেন। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের নারীরা রন্ধনশিল্পে যুক্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। রন্ধনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ। পাশাপাশি সরকারি পর্যায়েও পর্যটন কর্পোরেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রন্ধনশিল্প দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে শিল্পটি বিস্তারের সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তির অপকর্ম ও ব্যক্তিস্বার্থ অনুসরণের প্রবণতা দিন দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নারী-প্রধান এই অঙ্গনে কিছু অর্থলোভী নারী রন্ধনশিল্পের নাম ব্যবহার করে নানা অবৈধ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছেন। অভিযোগ রয়েছে, রন্ধনশিল্পের সাইনবোর্ডের আড়ালে কেউ কেউ নারী ব্যবসা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্পন্সরের নামে চাঁদাবাজি এবং প্রভাব বিস্তার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে কিছু প্রভাবশালী নারী যাদের অতীত রাজনৈতিক দাপট ছিল যথেষ্ট বিতর্কিত।
এই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক জাহিদা বেগম। নিজেকে ‘রন্ধনমাতা’ পরিচয়ে তুলে ধরে তিনি গত সরকারের আমলে পর্যটন কর্পোরেশনের বিভিন্ন সুবিধা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মুজিব বর্ষে ১০০ কেজি ওজনের কেক তৈরি করে তিনি আলোচনায় এলেও এর আড়ালে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সংযোগ ব্যবহার করে বিরাট সুবিধা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
আরোও পড়ুন – নেত্রকোনায় একই সনদে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি, শিক্ষিকা কামরুন্নাহারকে ঘিরে তদন্তে নতুন তথ্য

সরকারি চাকরির নীতিমালা অমান্য করে তিনি নাকি ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তুলেছেন আরেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যার নাম সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। ন্যাশনাল শব্দটি বাদ দিয়ে তিনি পরিচালনা করছেন ‘হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’। এতে সাধারণ মানুষ সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেবে প্রতারিত হচ্ছে। অভিযোগ আছে, তার স্বামী, পর্যটন কর্পোরেশনের উপব্যবস্থাপক শেখ মেহেদী এই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে অবৈধ প্রমোশনসহ নানা সুবিধা নিয়েছেন বলে রন্ধনশিল্প অঙ্গনের একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলানোর পরেও তিনি নাকি মন্ত্রণালয় ও কর্পোরেশনের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রন্ধনশিল্পী জানিয়েছেন, জাহিদা বেগমের মতো ব্যক্তিদের স্বার্থান্বেষী কর্মকাণ্ডের কারণে প্রকৃত রন্ধনবিদরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং শিল্পটির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তারা মনে করেন, রন্ধনশিল্পের প্রসারের পথে এই ধরনের প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।