কাবিটা প্রকল্পে দুর্নীতি: সিডিউল চাইতেই তিন সাংবাদিকের উপর হামলা

মো: শুভ ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়নের একটি কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণকে ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, খেয়াঘাট বাজার সংলগ্ন কালির বাজার রোডের পাশে চলমান সিসি ঢালাই কাজে সরকারি সিডিউল মানা হয়নি, বরং নকশা উপেক্ষা করে ইচ্ছেমতো কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে রাস্তার প্রস্থ ৮ ফিট হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ঢালাই দেওয়া হচ্ছে প্রায় ৭ ফিটের মতো কম জায়গায়। এছাড়া সিসি ঢালাইয়ের পূর্বে বাধ্যতামূলক সলিং ব্যবহার না করেই ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ—গাইডওয়ালের ইট মানহীন এবং ব্যবহৃত খোয়া অপরিষ্কার, যা রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করছে।

এলাকাবাসীর দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টদের কাছে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার জন্য অনুরোধ জানালেও কোনো সাড়া মিলছে না। সরকারি প্রকল্পে এমন নিম্নমানের কাজ ভবিষ্যতে দ্রুত ভেঙে পড়বে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, কাজের মান যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যায় তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক। তারা নির্মাণ কাজে অনিয়মের আলামত দেখতে পেয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে সিডিউল দেখতে চাইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, কাজের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন সাংবাদিকদের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সংবাদ সংগ্রহে ব্যবহৃত বুম ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী মুহূর্তে লাঠি, সোটা ও ঢালাই কাজে ব্যবহৃত বেলচা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

হামলায় একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন এবং তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

পুরো ঘটনার পর স্থানীয়দের দাবি আরও জোরদার হয়েছে—সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং যারা মানহীন কাজের মাধ্যমে জনগণের টাকা নষ্ট করছে তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। এই ঘটনা শুধু অনিয়ম নয়, গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করে সত্য প্রকাশে বাধা দেওয়ার একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত বলেও অনেকে মনে করছেন।

কাবিটা প্রকল্পে দুর্নীতি: সিডিউল চাইতেই তিন সাংবাদিকের উপর হামলা

নভেম্বর ২৭, ২০২৫

মো: শুভ ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়নের একটি কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণকে ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, খেয়াঘাট বাজার সংলগ্ন কালির বাজার রোডের পাশে চলমান সিসি ঢালাই কাজে সরকারি সিডিউল মানা হয়নি, বরং নকশা উপেক্ষা করে ইচ্ছেমতো কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে রাস্তার প্রস্থ ৮ ফিট হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ঢালাই দেওয়া হচ্ছে প্রায় ৭ ফিটের মতো কম জায়গায়। এছাড়া সিসি ঢালাইয়ের পূর্বে বাধ্যতামূলক সলিং ব্যবহার না করেই ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ—গাইডওয়ালের ইট মানহীন এবং ব্যবহৃত খোয়া অপরিষ্কার, যা রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করছে।

এলাকাবাসীর দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টদের কাছে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার জন্য অনুরোধ জানালেও কোনো সাড়া মিলছে না। সরকারি প্রকল্পে এমন নিম্নমানের কাজ ভবিষ্যতে দ্রুত ভেঙে পড়বে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, কাজের মান যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যায় তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক। তারা নির্মাণ কাজে অনিয়মের আলামত দেখতে পেয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে সিডিউল দেখতে চাইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, কাজের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন সাংবাদিকদের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সংবাদ সংগ্রহে ব্যবহৃত বুম ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী মুহূর্তে লাঠি, সোটা ও ঢালাই কাজে ব্যবহৃত বেলচা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

হামলায় একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন এবং তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

পুরো ঘটনার পর স্থানীয়দের দাবি আরও জোরদার হয়েছে—সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং যারা মানহীন কাজের মাধ্যমে জনগণের টাকা নষ্ট করছে তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। এই ঘটনা শুধু অনিয়ম নয়, গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করে সত্য প্রকাশে বাধা দেওয়ার একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত বলেও অনেকে মনে করছেন।