১১ দিন বন্ধের পর ভূমিকম্প ঝুঁকি কাটিয়ে বুটেক্সের চার আবাসিক হল পুনরায় চালু

আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্ক ও কাঠামোগত ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে ১১ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) চারটি আবাসিক হল পুনরায় শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবনগুলোতে জরুরি মেরামত ও পুনঃপরীক্ষা শেষে ৫ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা হলে ফেরা শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ৭ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রমও স্বাভাবিকভাবে চলছে।

ঢাকায় ২১ নভেম্বর ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী দিন ৩.৩ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্লাস, পরীক্ষা এবং আবাসিক হল বন্ধের দাবি জানানো হলে প্রশাসন ২৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় এবং হল খালি করার নির্দেশনা দেয়।

বন্ধের সময়কালে শহীদ আজিজ হল, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল, জি.এম.এ.জি ওসমানী হল এবং বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম হলে কাঠামোগত ত্রুটি চিহ্নিত করে মেরামত করা হয়। ভবনের দুর্বল অংশগুলো শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিক মেরামত সম্পন্ন হলেও আরও বিস্তৃত নিরাপত্তা মূল্যায়ন চলছে।

হলে ফেরার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দীর্ঘ যাত্রা ও সময়সীমা সংকোচনের কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কেউ কেউ সমস্যার কথা জানালেও নিরাপদ পরিবেশে পড়াশোনায় ফিরতে পারায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেন। প্রশাসনের দ্রুত সিদ্ধান্ত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে—এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে।

বর্তমানে সহকারী প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের সমন্বয়ে একটি কাউন্সেলিং টিম গঠন করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও আতঙ্ক দূর করতে সহায়তা দেবে। ভূমিকম্প বা জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে হলের নোটিশ বোর্ডে এবং শ্রেণিকক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ভয় না পেয়ে সচেতন থাকা সবচেয়ে জরুরি। যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুটেক্সের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। হল প্রাঙ্গনে জমতে শুরু করেছে পড়াশোনা, আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ। দীর্ঘ বিরতির পর বিশ্ববিদ্যালয় আবার নতুন উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে—এমনটাই অভিমত শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসনের।

১১ দিন বন্ধের পর ভূমিকম্প ঝুঁকি কাটিয়ে বুটেক্সের চার আবাসিক হল পুনরায় চালু

ডিসেম্বর ৭, ২০২৫

আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্ক ও কাঠামোগত ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে ১১ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) চারটি আবাসিক হল পুনরায় শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবনগুলোতে জরুরি মেরামত ও পুনঃপরীক্ষা শেষে ৫ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা হলে ফেরা শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ৭ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রমও স্বাভাবিকভাবে চলছে।

ঢাকায় ২১ নভেম্বর ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী দিন ৩.৩ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্লাস, পরীক্ষা এবং আবাসিক হল বন্ধের দাবি জানানো হলে প্রশাসন ২৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় এবং হল খালি করার নির্দেশনা দেয়।

বন্ধের সময়কালে শহীদ আজিজ হল, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল, জি.এম.এ.জি ওসমানী হল এবং বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম হলে কাঠামোগত ত্রুটি চিহ্নিত করে মেরামত করা হয়। ভবনের দুর্বল অংশগুলো শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিক মেরামত সম্পন্ন হলেও আরও বিস্তৃত নিরাপত্তা মূল্যায়ন চলছে।

হলে ফেরার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দীর্ঘ যাত্রা ও সময়সীমা সংকোচনের কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কেউ কেউ সমস্যার কথা জানালেও নিরাপদ পরিবেশে পড়াশোনায় ফিরতে পারায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেন। প্রশাসনের দ্রুত সিদ্ধান্ত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে—এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে।

বর্তমানে সহকারী প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের সমন্বয়ে একটি কাউন্সেলিং টিম গঠন করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও আতঙ্ক দূর করতে সহায়তা দেবে। ভূমিকম্প বা জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে হলের নোটিশ বোর্ডে এবং শ্রেণিকক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ভয় না পেয়ে সচেতন থাকা সবচেয়ে জরুরি। যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুটেক্সের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। হল প্রাঙ্গনে জমতে শুরু করেছে পড়াশোনা, আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ। দীর্ঘ বিরতির পর বিশ্ববিদ্যালয় আবার নতুন উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে—এমনটাই অভিমত শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসনের।