প্রধান শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ: শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগের জেরেই উত্তেজনা

আসিফ জিয়া মুন্না, নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

নলছিটি উপজেলার করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মলিনা রানীকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের প্ররোচনায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মলিনা রানী বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন ক্লাস ফাঁকি দেওয়া, অকারণে ছুটি গ্রহণের মতো অসংগতি দূর করতে তিনি কঠোর নজরদারি শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা এবং পাঠদানের মানোন্নয়নকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়। কয়েক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের নিয়মশৃঙ্খলা ফিরে আসে।

এলাকাবাসীর ভাষ্যে, পূর্বে বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষক থাকলেও নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন মাত্র একজন বা দুজন শিক্ষক। বাস্তবে ১৫ থেকে ২০ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও কাগজে দেখানো হতো প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যা। দায়িত্বহীনতা ও অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছিল বলে স্থানীয়রা জানান। মলিনা রানী দায়িত্ব গ্রহণের পর নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেন। এতে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছড়াতে শুরু করেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাতে থাকেন। আশপাশের এলাকায় বসবাস করায় তারা সামাজিকভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। সাম্প্রতিক সময়ে কুচক্রী মহলটি সহকারী শিক্ষকদের সহযোগিতায় নানা মিথ্যা অভিযোগ প্রচার শুরু করে এবং ঘটনাটি বড় ধরনের উত্তেজনার দিকে মোড় নেয়।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিদ্যালয়ের পরিবেশে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ প্রধান শিক্ষিকার জন্য ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত থাকতে হবে।

প্রধান শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ: শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগের জেরেই উত্তেজনা

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫

আসিফ জিয়া মুন্না, নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

নলছিটি উপজেলার করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মলিনা রানীকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের প্ররোচনায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মলিনা রানী বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন ক্লাস ফাঁকি দেওয়া, অকারণে ছুটি গ্রহণের মতো অসংগতি দূর করতে তিনি কঠোর নজরদারি শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা এবং পাঠদানের মানোন্নয়নকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়। কয়েক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের নিয়মশৃঙ্খলা ফিরে আসে।

এলাকাবাসীর ভাষ্যে, পূর্বে বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষক থাকলেও নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন মাত্র একজন বা দুজন শিক্ষক। বাস্তবে ১৫ থেকে ২০ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও কাগজে দেখানো হতো প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যা। দায়িত্বহীনতা ও অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছিল বলে স্থানীয়রা জানান। মলিনা রানী দায়িত্ব গ্রহণের পর নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেন। এতে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছড়াতে শুরু করেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাতে থাকেন। আশপাশের এলাকায় বসবাস করায় তারা সামাজিকভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। সাম্প্রতিক সময়ে কুচক্রী মহলটি সহকারী শিক্ষকদের সহযোগিতায় নানা মিথ্যা অভিযোগ প্রচার শুরু করে এবং ঘটনাটি বড় ধরনের উত্তেজনার দিকে মোড় নেয়।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিদ্যালয়ের পরিবেশে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ প্রধান শিক্ষিকার জন্য ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত থাকতে হবে।