ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটের যুবকের বিরুদ্ধে আদালতের সর্বোচ্চ শাস্তি

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটে ব্র্যাক এনজিওর এক নারী কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক যুবকের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত জিহাদ শেখ (৩০) বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বেনেগাতি গ্রামের মৃত লুৎফর শেখের ছেলে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট দুপুরে ব্র্যাক এনজিও যাত্রাপুর শাখার মাইক্রোফাইন্যান্স (দাবী) বিভাগের এক নারী কর্মকর্তা ইউনিয়নের বেনেগাতি এলাকায় সার্ভে কাজে যান। এ সময় জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে সার্ভে করার প্রস্তুতিকালে জিহাদ শেখ তাকে প্রতারণার মাধ্যমে নিকটবর্তী বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে নির্জন পরিবেশের সুযোগে সে গলার কাছে ধারালো দা ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী কর্মী বাগেরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ ও ২০২০) এর ৯(১) ধারায় জিহাদ শেখকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু করে। মামলার মোট ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য–প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঐতিহাসিক এই রায় প্রদান করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জানান, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যগ্রহণ, ঘটনার বিবরণ, ফরেনসিক রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে নিশ্চিত হয় যে অভিযুক্ত জিহাদ শেখ পরিকল্পিতভাবে নারী কর্মীকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তাই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে।

এই রায়কে স্থানীয়রা নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। অনেকের মতে, এমন কঠোর শাস্তি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমাতে ভূমিকা রাখবে।

ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটের যুবকের বিরুদ্ধে আদালতের সর্বোচ্চ শাস্তি

ডিসেম্বর ১, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটে ব্র্যাক এনজিওর এক নারী কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক যুবকের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত জিহাদ শেখ (৩০) বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বেনেগাতি গ্রামের মৃত লুৎফর শেখের ছেলে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট দুপুরে ব্র্যাক এনজিও যাত্রাপুর শাখার মাইক্রোফাইন্যান্স (দাবী) বিভাগের এক নারী কর্মকর্তা ইউনিয়নের বেনেগাতি এলাকায় সার্ভে কাজে যান। এ সময় জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে সার্ভে করার প্রস্তুতিকালে জিহাদ শেখ তাকে প্রতারণার মাধ্যমে নিকটবর্তী বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে নির্জন পরিবেশের সুযোগে সে গলার কাছে ধারালো দা ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী কর্মী বাগেরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ ও ২০২০) এর ৯(১) ধারায় জিহাদ শেখকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু করে। মামলার মোট ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য–প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঐতিহাসিক এই রায় প্রদান করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জানান, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যগ্রহণ, ঘটনার বিবরণ, ফরেনসিক রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে নিশ্চিত হয় যে অভিযুক্ত জিহাদ শেখ পরিকল্পিতভাবে নারী কর্মীকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তাই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে।

এই রায়কে স্থানীয়রা নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। অনেকের মতে, এমন কঠোর শাস্তি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমাতে ভূমিকা রাখবে।