এনায়েত করিম রাজিব
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। চলতি বছরের নভেম্বরে কেন্দ্রটি মোট ৭০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ মাসিক উৎপাদনের রেকর্ড গড়ে। এ অর্জন শুধু কেন্দ্রটির সক্ষমতাকেই নয়, দেশের সামগ্রিক জ্বালানি নিরাপত্তা ও উৎপাদন কাঠামোয় রামপালের ক্রমবর্ধমান অবদানকে আরও সুস্পষ্ট করেছে।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থার্মাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই প্রকল্পের দুটি ইউনিট পুরোপুরি উৎপাদনে আসার পর বিদ্যুৎ সরবরাহে উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। নভেম্বর মাসে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ জাতীয় চাহিদার প্রায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ পূরণে সহায়তা করেছে। দেশের অন্য কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র এত বড় মাত্রার মাসিক উৎপাদন আগে করতে পারেনি, ফলে রামপাল উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির শিল্পমান, কয়লা ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা এবং আর্থিক পরিকল্পনাকে এই সাফল্যের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রটিতে উচ্চমানের কয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রটি নিয়মিতভাবে মাসে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করলেও প্রথমবারের মতো ৭০০ মিলিয়ন ইউনিট অতিক্রম করায় উৎপাদন দক্ষতা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
রামপালের এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালুর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। প্রায় এক বছর পর দ্বিতীয় ইউনিট পুরোপুরি উৎপাদনে আসলে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়। এর ধারাবাহিকতায় নভেম্বরের অতিরিক্ত উৎপাদন জাতীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তায় রামপাল কেন্দ্রটি বড় ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে আরও স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সরকারের জ্বালানি খাতে চলমান আধুনিকায়ন উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রামপাল প্রকল্পের অগ্রগতি একটি গুরুত্ববহ অর্জন। শিল্প, ব্যবসা ও সাধারণ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এমন উৎপাদন ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ। রামপালের নতুন রেকর্ড দেশের বিদ্যুৎ খাতে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।
দেশে সর্বোচ্চ মাসিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষে রামপাল: ৭০০ মিলিয়ন ইউনিটের মাইলফলক
এনায়েত করিম রাজিব
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। চলতি বছরের নভেম্বরে কেন্দ্রটি মোট ৭০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ মাসিক উৎপাদনের রেকর্ড গড়ে। এ অর্জন শুধু কেন্দ্রটির সক্ষমতাকেই নয়, দেশের সামগ্রিক জ্বালানি নিরাপত্তা ও উৎপাদন কাঠামোয় রামপালের ক্রমবর্ধমান অবদানকে আরও সুস্পষ্ট করেছে।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থার্মাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই প্রকল্পের দুটি ইউনিট পুরোপুরি উৎপাদনে আসার পর বিদ্যুৎ সরবরাহে উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। নভেম্বর মাসে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ জাতীয় চাহিদার প্রায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ পূরণে সহায়তা করেছে। দেশের অন্য কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র এত বড় মাত্রার মাসিক উৎপাদন আগে করতে পারেনি, ফলে রামপাল উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির শিল্পমান, কয়লা ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা এবং আর্থিক পরিকল্পনাকে এই সাফল্যের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রটিতে উচ্চমানের কয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রটি নিয়মিতভাবে মাসে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করলেও প্রথমবারের মতো ৭০০ মিলিয়ন ইউনিট অতিক্রম করায় উৎপাদন দক্ষতা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
রামপালের এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালুর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। প্রায় এক বছর পর দ্বিতীয় ইউনিট পুরোপুরি উৎপাদনে আসলে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়। এর ধারাবাহিকতায় নভেম্বরের অতিরিক্ত উৎপাদন জাতীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তায় রামপাল কেন্দ্রটি বড় ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে আরও স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সরকারের জ্বালানি খাতে চলমান আধুনিকায়ন উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রামপাল প্রকল্পের অগ্রগতি একটি গুরুত্ববহ অর্জন। শিল্প, ব্যবসা ও সাধারণ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এমন উৎপাদন ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ। রামপালের নতুন রেকর্ড দেশের বিদ্যুৎ খাতে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।