সেলিম মাহবুব
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত নৃশংস হামলার পর তাঁর চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও বিচার ইস্যুতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্রিয় তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় আয়োজিত এই সাক্ষাতে ওসমান হাদির পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাই আবু বকর সিদ্দীক ও বোন মাসুমা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা সভায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে ওসমান হাদির বর্তমান শারীরিক অবস্থা, ভবিষ্যৎ চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং তাঁর ওপর সংঘটিত হামলার পেছনের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেন যে, ওসমান হাদির চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঘাটতি রাখা হবে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেও সরকার প্রস্তুত রয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর সুস্থতা নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে পরিবারের পক্ষ থেকে ওসমান হাদির রাজনৈতিক ও সামাজিক ভূমিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান গ্রহণ করতেন বলে জানানো হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় পর্যন্ত তিনি সক্রিয়ভাবে সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। পরিবার জানায়, তাঁর একটি অল্প বয়সী সন্তান রয়েছে এবং পুরো পরিবার তাঁর ওপর নির্ভরশীল।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এই হামলাকে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং জুলাই আন্দোলনের আদর্শের ওপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা জানান, হামলাকারীর পূর্ববর্তী অপরাধমূলক ইতিহাস এবং জামিন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও সংগঠকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে অনেক কর্মী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে নেতারা মত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে এবং পুরো ঘটনার আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র কোনোভাবেই এমন সহিংসতা ও অরাজকতাকে প্রশ্রয় দেবে না।
সাক্ষাৎকালে আইন উপদেষ্টা, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এতে করে বিষয়টির গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওসমান হাদির ওপর হামলা এবং তার পরবর্তী রাষ্ট্রীয় প্রতিক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে। সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান এবং আহত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
সার্বিকভাবে, ওসমান হাদির সুস্থতা, হামলার বিচার এবং জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা—এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই সরকারের চলমান উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
জুলাই আন্দোলনের সংগঠক ওসমান হাদি: সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি
সেলিম মাহবুব
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত নৃশংস হামলার পর তাঁর চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও বিচার ইস্যুতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্রিয় তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় আয়োজিত এই সাক্ষাতে ওসমান হাদির পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাই আবু বকর সিদ্দীক ও বোন মাসুমা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা সভায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে ওসমান হাদির বর্তমান শারীরিক অবস্থা, ভবিষ্যৎ চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং তাঁর ওপর সংঘটিত হামলার পেছনের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেন যে, ওসমান হাদির চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঘাটতি রাখা হবে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেও সরকার প্রস্তুত রয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর সুস্থতা নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে পরিবারের পক্ষ থেকে ওসমান হাদির রাজনৈতিক ও সামাজিক ভূমিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান গ্রহণ করতেন বলে জানানো হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় পর্যন্ত তিনি সক্রিয়ভাবে সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। পরিবার জানায়, তাঁর একটি অল্প বয়সী সন্তান রয়েছে এবং পুরো পরিবার তাঁর ওপর নির্ভরশীল।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এই হামলাকে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং জুলাই আন্দোলনের আদর্শের ওপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা জানান, হামলাকারীর পূর্ববর্তী অপরাধমূলক ইতিহাস এবং জামিন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও সংগঠকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে অনেক কর্মী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে নেতারা মত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে এবং পুরো ঘটনার আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র কোনোভাবেই এমন সহিংসতা ও অরাজকতাকে প্রশ্রয় দেবে না।
সাক্ষাৎকালে আইন উপদেষ্টা, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এতে করে বিষয়টির গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওসমান হাদির ওপর হামলা এবং তার পরবর্তী রাষ্ট্রীয় প্রতিক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে। সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান এবং আহত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
সার্বিকভাবে, ওসমান হাদির সুস্থতা, হামলার বিচার এবং জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা—এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই সরকারের চলমান উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।