শ্রীনগরে স্কুলপথে নিখোঁজ কিশোরী, থানায় অপহরণের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বসবাসকারী এক পরিবারের ১৩ বছর বয়সী কন্যা গত ১১ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবার অপহরণের অভিযোগ এনে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

নিখোঁজ কিশোরী স্থানীয় জলিল খা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্কুলে যাতায়াতের সময় একই এলাকার এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি পরিবারের নজরে এলে অভিযুক্ত যুবককে সতর্ক করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য বলা হয়। তবে সতর্কবার্তার পরও উত্যক্তের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে বলে পরিবারের দাবি।

পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক একপর্যায়ে কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়েতে রাজি না হলে অপহরণ করার হুমকিও দেয়। এর কিছুদিন পরই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ১১ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কিশোরী বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন।

পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ৈখালী বাজারের বটতলা এলাকায় অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডে কিশোরীকে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত যুবক ও তার সহযোগীরা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

নিখোঁজের পর কিশোরীর পরিবার অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কল রিসিভ না করে কেটে দেওয়া হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায় কিশোরীর পিতা শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই শ্রীনগর থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত যুবকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাকিং করা হচ্ছে এবং নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য এবং দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সচেতন মহল মনে করছে, কিশোরীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিকভাবে আরও কঠোর অবস্থান প্রয়োজন। একই সঙ্গে স্কুলগামী শিশুদের চলাচলে অভিভাবক ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি জোরদারের দাবি উঠেছে।

শ্রীনগরে স্কুলপথে নিখোঁজ কিশোরী, থানায় অপহরণের অভিযোগ

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বসবাসকারী এক পরিবারের ১৩ বছর বয়সী কন্যা গত ১১ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবার অপহরণের অভিযোগ এনে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

নিখোঁজ কিশোরী স্থানীয় জলিল খা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্কুলে যাতায়াতের সময় একই এলাকার এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি পরিবারের নজরে এলে অভিযুক্ত যুবককে সতর্ক করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য বলা হয়। তবে সতর্কবার্তার পরও উত্যক্তের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে বলে পরিবারের দাবি।

পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক একপর্যায়ে কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়েতে রাজি না হলে অপহরণ করার হুমকিও দেয়। এর কিছুদিন পরই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ১১ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কিশোরী বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন।

পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ৈখালী বাজারের বটতলা এলাকায় অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডে কিশোরীকে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত যুবক ও তার সহযোগীরা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

নিখোঁজের পর কিশোরীর পরিবার অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কল রিসিভ না করে কেটে দেওয়া হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায় কিশোরীর পিতা শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই শ্রীনগর থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত যুবকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাকিং করা হচ্ছে এবং নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য এবং দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সচেতন মহল মনে করছে, কিশোরীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিকভাবে আরও কঠোর অবস্থান প্রয়োজন। একই সঙ্গে স্কুলগামী শিশুদের চলাচলে অভিভাবক ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি জোরদারের দাবি উঠেছে।