গ্রামীণ পরিবেশে শিশুদের স্বপ্নের শিক্ষালয়: মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শাহরিয়ার শাকিল, বড়লেখা প্রতিনিধি

সবুজ প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বড়লেখার শিক্ষার্থীদের স্বপ্নবাজ ভবিষ্যতের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই শিক্ষালয় শুধু একটি বিদ্যালয় নয়; বরং এটি গ্রামের শিশুদের আশার বাতিঘর। নীরব, শ্যামলময় পরিবেশে ঘেরা বিদ্যালয়টির চারপাশে বিস্তৃত মাঠ, দিগন্তজোড়া সবুজ প্রকৃতি আর শান্ত বাতাস প্রতিদিন ছোট্ট শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্যমে স্কুলমুখী করে তোলে।

বিদ্যালয়ের বিশাল মাঠটি যেন প্রকৃতির সবুজ গালিচা। সূর্যের কোমল আলো যখন সবুজে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মাঠের প্রতিটি ঘাসের ডগা ঝলমল করে ওঠে। নানা রঙের ফুল, লতা-পাতার সমারোহ, শিশির ভেজা সকাল আর পাখির কলতান—সব মিলিয়ে এই মাঠ প্রকৃতির এক চিরন্তন সৌন্দর্যের ছবি তুলে ধরে। মৃদু বাতাস সবুজ মাঠের ওপর দিয়ে বয়ে গেলে এক অদ্ভুত সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুবাসে গ্রামের প্রকৃতি, মন আর অনুভূতির একটি অজানা সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির মাঝে শিখতে পারার সুযোগ পায়, যা তাদের মানসিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে। আধুনিক সময়ে শহুরে কোলাহল থেকে দূরে, গ্রামীণ জীবন আর প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিক্ষা গ্রহণ একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এখানকার শিক্ষকরা শিশুদের আনন্দমুখর শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছেন। পাঠদানের পাশাপাশি খেলাধুলা, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, মাঠে বসে শেখা—এসব কার্যক্রম শিখনকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলছে।

গ্রামের মানুষদের কাছে বিদ্যালয়টি শুধু শিশুর পড়ার জায়গা নয়, বরং সামাজিক বন্ধন তৈরি করার কেন্দ্র। অভিভাবকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণে অংশ নেন। বিদ্যালয়ের মাঠ পরিচ্ছন্ন রাখা, ফুলের বাগান সাজানো, শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা—সবকিছুতেই গ্রামের মানুষের আন্তরিকতা চোখে পড়ে। শিশুদের স্বপ্ন পূরণে সবাই মিলে এগিয়ে আসার এই মনোভাব গ্রামীণ সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় যে গ্রামবাংলার সৌন্দর্যকে বারবার তুলে ধরা হয়েছে, সেই প্রকৃতির বাস্তব রূপ দেখা যায় মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। প্রকৃতি, নীরবতা আর শান্ত পরিবেশ শিশুদের কল্পনা ও সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
সবুজ প্রকৃতির কোলে জন্ম নেওয়া এই বিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা–আলোকের পথে—শিশুদের স্বপ্নে, ভবিষ্যতের আলোয়।

গ্রামীণ পরিবেশে শিশুদের স্বপ্নের শিক্ষালয়: মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ডিসেম্বর ১০, ২০২৫

শাহরিয়ার শাকিল, বড়লেখা প্রতিনিধি

সবুজ প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বড়লেখার শিক্ষার্থীদের স্বপ্নবাজ ভবিষ্যতের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই শিক্ষালয় শুধু একটি বিদ্যালয় নয়; বরং এটি গ্রামের শিশুদের আশার বাতিঘর। নীরব, শ্যামলময় পরিবেশে ঘেরা বিদ্যালয়টির চারপাশে বিস্তৃত মাঠ, দিগন্তজোড়া সবুজ প্রকৃতি আর শান্ত বাতাস প্রতিদিন ছোট্ট শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্যমে স্কুলমুখী করে তোলে।

বিদ্যালয়ের বিশাল মাঠটি যেন প্রকৃতির সবুজ গালিচা। সূর্যের কোমল আলো যখন সবুজে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মাঠের প্রতিটি ঘাসের ডগা ঝলমল করে ওঠে। নানা রঙের ফুল, লতা-পাতার সমারোহ, শিশির ভেজা সকাল আর পাখির কলতান—সব মিলিয়ে এই মাঠ প্রকৃতির এক চিরন্তন সৌন্দর্যের ছবি তুলে ধরে। মৃদু বাতাস সবুজ মাঠের ওপর দিয়ে বয়ে গেলে এক অদ্ভুত সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুবাসে গ্রামের প্রকৃতি, মন আর অনুভূতির একটি অজানা সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির মাঝে শিখতে পারার সুযোগ পায়, যা তাদের মানসিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে। আধুনিক সময়ে শহুরে কোলাহল থেকে দূরে, গ্রামীণ জীবন আর প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিক্ষা গ্রহণ একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা। এখানকার শিক্ষকরা শিশুদের আনন্দমুখর শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছেন। পাঠদানের পাশাপাশি খেলাধুলা, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, মাঠে বসে শেখা—এসব কার্যক্রম শিখনকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলছে।

গ্রামের মানুষদের কাছে বিদ্যালয়টি শুধু শিশুর পড়ার জায়গা নয়, বরং সামাজিক বন্ধন তৈরি করার কেন্দ্র। অভিভাবকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণে অংশ নেন। বিদ্যালয়ের মাঠ পরিচ্ছন্ন রাখা, ফুলের বাগান সাজানো, শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা—সবকিছুতেই গ্রামের মানুষের আন্তরিকতা চোখে পড়ে। শিশুদের স্বপ্ন পূরণে সবাই মিলে এগিয়ে আসার এই মনোভাব গ্রামীণ সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় যে গ্রামবাংলার সৌন্দর্যকে বারবার তুলে ধরা হয়েছে, সেই প্রকৃতির বাস্তব রূপ দেখা যায় মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। প্রকৃতি, নীরবতা আর শান্ত পরিবেশ শিশুদের কল্পনা ও সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
সবুজ প্রকৃতির কোলে জন্ম নেওয়া এই বিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা–আলোকের পথে—শিশুদের স্বপ্নে, ভবিষ্যতের আলোয়।