ছাতক-দোয়ারাবাজারে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি—কলিম উদ্দিন মিলনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা

সেলিম মাহবুব

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের ছাতক ও দোয়ারাবাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের মূল ভিত্তি গড়ে তুলতে ধারাবাহিক গণসংযোগ এবং উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে দলটির নেতারা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ এই রাজনৈতিক অঙ্গনে দলীয় প্রার্থীর জন্য প্রচারের নতুন ধারা শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন স্থানীয় পর্যায়ে সক্রিয় নেতৃত্ব বজায় রাখছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ছাতকের দোলারবাজার ইউনিয়নের মামদপুর-রহিমপুর এলাকায় এক উঠান বৈঠকে মিলন বলেন, বিএনপির ঐক্যই এখন দলের প্রধান শক্তি। গত কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর যারা ভোটার হয়েছেন এবং বর্তমানে যারা নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন—তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যেই দলীয় নেতারা ঘরে ঘরে কাজ করছেন। কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় মাটি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। ছাতক-দোয়ারাবাজারে সংগঠনভিত্তিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হওয়ায় ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আসনটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য উপহার দেওয়া হবে।

উঠান বৈঠকের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়ার নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা আলী হোসেন মানিক। সভাপতিত্ব করেন মো. মখন মিয়া এবং পরিচালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. ফখর উদ্দিন। বৈঠকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।

কলিম উদ্দিন মিলন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই হবে তাঁর অগ্রাধিকার। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত ডিজিটাল ফ্যামেলি কার্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে গরীব পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। অতীতে যেমন ধর্মের নামে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে, বর্তমানেও একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তি প্রতিহত করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ধর্মের নামে বিভক্তি নয়; বরং সামাজিক ঐক্য ও মানবতার মূল্যবোধই দেশের শান্তি নিশ্চিত করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

উঠান বৈঠকে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন। ভার্চুয়ালভাবে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আসাদ মিয়া সংযুক্ত হন এবং স্থানীয় পর্যায়ে দলের প্রচারণার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এতে অংশ নেন আনজব আলী, গোলাম কিবরিয়া, আব্দুস শহিদ শিপলু, বদরুল আলম মারজানসহ গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে স্থানীয় নেতারা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন এবং নির্বাচনী কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেন।

ছাতক-দোয়ারাবাজারের জনগণ ঐতিহাসিকভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয়। এই অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন সময়ে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। তাই সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে প্রচারণা ব্যাপক সাড়া ফেলছে। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির প্রচারণা—উঠান বৈঠক, কর্মী সভা, সামাজিক যোগাযোগ, বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ—all মিলিয়ে সংগঠনের ভিত্তি শক্তিশালী করছে।

নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ, স্থানীয় নেতৃত্বের ঐক্য এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন—এসবই নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ছাতক-দোয়ারাবাজারের মানুষের প্রত্যাশা, নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে এবার তাদের মতামত সঠিকভাবে ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তরুণরা গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে।

উঠান বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের বক্তব্যে দলীয় ঐক্য এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করা হয়। শেষ ধাপে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয় এবং মাঠ পর্যায়ের কাজকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ছাতক-দোয়ারাবাজারে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি—কলিম উদ্দিন মিলনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা

ডিসেম্বর ১০, ২০২৫

সেলিম মাহবুব

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের ছাতক ও দোয়ারাবাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের মূল ভিত্তি গড়ে তুলতে ধারাবাহিক গণসংযোগ এবং উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে দলটির নেতারা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ এই রাজনৈতিক অঙ্গনে দলীয় প্রার্থীর জন্য প্রচারের নতুন ধারা শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন স্থানীয় পর্যায়ে সক্রিয় নেতৃত্ব বজায় রাখছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ছাতকের দোলারবাজার ইউনিয়নের মামদপুর-রহিমপুর এলাকায় এক উঠান বৈঠকে মিলন বলেন, বিএনপির ঐক্যই এখন দলের প্রধান শক্তি। গত কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর যারা ভোটার হয়েছেন এবং বর্তমানে যারা নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন—তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যেই দলীয় নেতারা ঘরে ঘরে কাজ করছেন। কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় মাটি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। ছাতক-দোয়ারাবাজারে সংগঠনভিত্তিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হওয়ায় ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আসনটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য উপহার দেওয়া হবে।

উঠান বৈঠকের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়ার নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা আলী হোসেন মানিক। সভাপতিত্ব করেন মো. মখন মিয়া এবং পরিচালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. ফখর উদ্দিন। বৈঠকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।

কলিম উদ্দিন মিলন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই হবে তাঁর অগ্রাধিকার। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত ডিজিটাল ফ্যামেলি কার্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে গরীব পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। অতীতে যেমন ধর্মের নামে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে, বর্তমানেও একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তি প্রতিহত করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ধর্মের নামে বিভক্তি নয়; বরং সামাজিক ঐক্য ও মানবতার মূল্যবোধই দেশের শান্তি নিশ্চিত করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

উঠান বৈঠকে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন। ভার্চুয়ালভাবে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আসাদ মিয়া সংযুক্ত হন এবং স্থানীয় পর্যায়ে দলের প্রচারণার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এতে অংশ নেন আনজব আলী, গোলাম কিবরিয়া, আব্দুস শহিদ শিপলু, বদরুল আলম মারজানসহ গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে স্থানীয় নেতারা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন এবং নির্বাচনী কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেন।

ছাতক-দোয়ারাবাজারের জনগণ ঐতিহাসিকভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয়। এই অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন সময়ে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। তাই সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে প্রচারণা ব্যাপক সাড়া ফেলছে। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির প্রচারণা—উঠান বৈঠক, কর্মী সভা, সামাজিক যোগাযোগ, বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ—all মিলিয়ে সংগঠনের ভিত্তি শক্তিশালী করছে।

নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ, স্থানীয় নেতৃত্বের ঐক্য এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন—এসবই নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ছাতক-দোয়ারাবাজারের মানুষের প্রত্যাশা, নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে এবার তাদের মতামত সঠিকভাবে ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তরুণরা গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে।

উঠান বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের বক্তব্যে দলীয় ঐক্য এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করা হয়। শেষ ধাপে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয় এবং মাঠ পর্যায়ের কাজকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।