তাহিরপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পাড় রক্ষা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নদীর তীরে লাউড়েরগড় খেলার মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান মানিক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, যাদুকাটা-১ এর ইজারাদার নাসির মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়, এবং লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার কামালসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ, স্থানীয় সাংবাদিক ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি আলম সাব্বির প্রমুখ।
স্থানীয় সাংবাদিক আলম সাব্বির বলেন, “নদীর পূর্বপাড়ের মানুষ অতীতেও নিজ উদ্যোগে নদী রক্ষা করেছে, এখনও করছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি করছেন। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
ইজারাদার নাসির মিয়া বলেন, “আমরা পাড় কাটার বিপক্ষে। তবে নদী বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করছি। প্রতিপক্ষ মহল ষড়যন্ত্র করে ভুল তথ্য প্রচার করছে।”
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “যাদুকাটা নদীর তীর কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ জনের নাম শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযানে কেউ ছাড় পাবে না, আইনের আওতায় আনা হবে।”
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, “নদী রক্ষায় ফুল-টাইম একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ইজারাদার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদুকাটা নদী শুধু নদী নয়, এটি আমাদের পরিবেশ ও পর্যটনের প্রাণ। একে রক্ষা করতে প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে।”
যাদুকাটা নদীর পাড় কাটা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
তাহিরপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পাড় রক্ষা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নদীর তীরে লাউড়েরগড় খেলার মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান মানিক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, যাদুকাটা-১ এর ইজারাদার নাসির মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়, এবং লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার কামালসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ, স্থানীয় সাংবাদিক ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি আলম সাব্বির প্রমুখ।
স্থানীয় সাংবাদিক আলম সাব্বির বলেন, “নদীর পূর্বপাড়ের মানুষ অতীতেও নিজ উদ্যোগে নদী রক্ষা করেছে, এখনও করছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি করছেন। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
ইজারাদার নাসির মিয়া বলেন, “আমরা পাড় কাটার বিপক্ষে। তবে নদী বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করছি। প্রতিপক্ষ মহল ষড়যন্ত্র করে ভুল তথ্য প্রচার করছে।”
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “যাদুকাটা নদীর তীর কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ জনের নাম শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযানে কেউ ছাড় পাবে না, আইনের আওতায় আনা হবে।”
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, “নদী রক্ষায় ফুল-টাইম একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ইজারাদার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদুকাটা নদী শুধু নদী নয়, এটি আমাদের পরিবেশ ও পর্যটনের প্রাণ। একে রক্ষা করতে প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে।”