জামিরুল হক সুজন
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার রুহানী নগর এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৫ সালের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ ও ব্যতিক্রমী আয়োজনের সমাহার। প্রতি বছর শীত মৌসুমে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত এই বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশকে ঘিরে এবার দেখা যাচ্ছে নতুনত্বের ছাপ, যা মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং আয়োজক কমিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরো এলাকাজুড়ে চলছে জোর প্রস্তুতি।
ইজতেমা মাঠ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের পরিচিত আলেম–ওলামা, বক্তা এবং তাবলিগ জামাতের বরেণ্য মুরব্বিদের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে। তাদের বয়ান ও আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা শোনার জন্য লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ধর্মপ্রাণ মানুষ দলে দলে আসতে শুরু করেছেন। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ বছর ইজতেমায় আগত মুসল্লির সংখ্যা হবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।
সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নারীদের অংশগ্রহণ। প্রথমবারের মতো রুহানী নগর ইজতেমায় নারী মুসল্লিদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল পৃথক প্যান্ডেল। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এই প্যান্ডেলে তারা নিরাপদ পরিবেশে বসে ধর্মীয় বয়ান ও শিক্ষা নিতে পারবেন। আয়োজকদের মতে, নারীদের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আরও বাড়াতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ইজতেমার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে।
আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ইজতেমার কার্যক্রম এবং ৭ নভেম্বর সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের আয়োজন। নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, আর স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিকভাবে মুসল্লিদের সহায়তায় নিয়োজিত। যাতায়াত, আবাসন, পানীয় জল, টয়লেট এবং চিকিৎসা সহায়তা—সব ক্ষেত্রেই সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা ঘিরে রুহানী নগর এলাকার গ্রাম–গঞ্জে নেমে এসেছে এক ধরনের মিলনমেলার আমেজ। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও এসেছে ব্যাপক গতি। দোকানপাট, হোটেল–রেস্তোরাঁ, পরিবহন—সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে চাহিদা ও মানুষের আনাগোনা। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, রুহানী নগর ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে অঞ্চলকে নতুন প্রাণ দেবে।
আয়োজকরা মনে করছেন, নানামুখী প্রস্তুতি এবং ভিন্নমাত্রার আয়োজনের কারণে এবারের ইজতেমা জাতীয় পর্যায়ে বিশেষভাবে চিহ্নিত হবে। ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার এবং সামাজিক সম্প্রীতি গঠনে রুহানী নগরের এই ইজতেমা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তাদের আশাবাদ।
দেশ-বিদেশের আলেমদের আগমনে মুখর রুহানী নগর ইজতেমা মাঠ
জামিরুল হক সুজন
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার রুহানী নগর এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৫ সালের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ ও ব্যতিক্রমী আয়োজনের সমাহার। প্রতি বছর শীত মৌসুমে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত এই বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশকে ঘিরে এবার দেখা যাচ্ছে নতুনত্বের ছাপ, যা মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং আয়োজক কমিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরো এলাকাজুড়ে চলছে জোর প্রস্তুতি।
ইজতেমা মাঠ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের পরিচিত আলেম–ওলামা, বক্তা এবং তাবলিগ জামাতের বরেণ্য মুরব্বিদের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে। তাদের বয়ান ও আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা শোনার জন্য লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ধর্মপ্রাণ মানুষ দলে দলে আসতে শুরু করেছেন। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ বছর ইজতেমায় আগত মুসল্লির সংখ্যা হবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।
সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নারীদের অংশগ্রহণ। প্রথমবারের মতো রুহানী নগর ইজতেমায় নারী মুসল্লিদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল পৃথক প্যান্ডেল। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এই প্যান্ডেলে তারা নিরাপদ পরিবেশে বসে ধর্মীয় বয়ান ও শিক্ষা নিতে পারবেন। আয়োজকদের মতে, নারীদের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আরও বাড়াতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ইজতেমার পরিধি আরও বিস্তৃত হবে।
আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ইজতেমার কার্যক্রম এবং ৭ নভেম্বর সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের আয়োজন। নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, আর স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিকভাবে মুসল্লিদের সহায়তায় নিয়োজিত। যাতায়াত, আবাসন, পানীয় জল, টয়লেট এবং চিকিৎসা সহায়তা—সব ক্ষেত্রেই সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমা ঘিরে রুহানী নগর এলাকার গ্রাম–গঞ্জে নেমে এসেছে এক ধরনের মিলনমেলার আমেজ। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও এসেছে ব্যাপক গতি। দোকানপাট, হোটেল–রেস্তোরাঁ, পরিবহন—সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে চাহিদা ও মানুষের আনাগোনা। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, রুহানী নগর ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে অঞ্চলকে নতুন প্রাণ দেবে।
আয়োজকরা মনে করছেন, নানামুখী প্রস্তুতি এবং ভিন্নমাত্রার আয়োজনের কারণে এবারের ইজতেমা জাতীয় পর্যায়ে বিশেষভাবে চিহ্নিত হবে। ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার এবং সামাজিক সম্প্রীতি গঠনে রুহানী নগরের এই ইজতেমা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তাদের আশাবাদ।