বায়তুল মুকাররমে দৃষ্টি আকর্ষণীয় উন্নয়ন, বাড়ছে সেবার মান

সেলিম মাহবুবঃ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ইবাদতবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত সাম্প্রতিক কাজগুলোয় মসজিদের ব্যবহারবান্ধব অবকাঠামো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের কাজগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। পুরাতন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সাব-স্টেশন স্থাপন এবং জেনারেটর সংযোজনে ব্যয় হয়েছে বহু কোটি টাকা। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সংযোজন করা হয়েছে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা ও হাইড্রেট স্পট। একই সঙ্গে ওজুখানা, পানির লাইন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাও উন্নয়ন করা হয়েছে।

মসজিদে আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৪০টি এসি সচল করা হয়েছে, মহিলাদের নামাজ কক্ষের সব এসিও পুনঃসার্ভিসিং করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে উচ্চমানের কার্পেট সংযোজন করা হয়েছে, যা মিনারসহ বিভিন্ন অংশে নতুনভাবে বিছানো হয়েছে। বায়তুল মুকাররমে সর্বশেষ এক বছরে ১২০টি নতুন সিলিং ফ্যান এবং ১০টি পেডেস্টাল ফ্যান সংযোজন হয়েছে, যা নামাজের সময়ে শীতল আবহ তৈরি করছে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে সার্বক্ষণিক টয়লেট ও ওজুখানা পরিষ্কার ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছে। পূর্বদিকে আধুনিক ডিজাইনে নতুন অযুখানা ও ৩০টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি প্রবেশদ্বার পুনর্নির্মাণ হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে ওভারহেড জুতার বক্স।

মার্কেট পরিচালনা ও রাজস্ব আয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বকেয়া আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে দুটি দোকান। বছরজুড়ে কার পার্কিং ইজারা থেকে এসেছে রাজস্ব প্রবাহ। মোট মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খুব শিগগিরই জাতীয় মসজিদের আধুনিকায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও বিস্তৃত উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। বায়তুল মুকাররমকে দেশের প্রধান ইসলামী কেন্দ্র হিসেবে আরও আধুনিক সুবিধার আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

বায়তুল মুকাররমে দৃষ্টি আকর্ষণীয় উন্নয়ন, বাড়ছে সেবার মান

ডিসেম্বর ৭, ২০২৫

সেলিম মাহবুবঃ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ইবাদতবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত সাম্প্রতিক কাজগুলোয় মসজিদের ব্যবহারবান্ধব অবকাঠামো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের কাজগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। পুরাতন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সাব-স্টেশন স্থাপন এবং জেনারেটর সংযোজনে ব্যয় হয়েছে বহু কোটি টাকা। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সংযোজন করা হয়েছে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা ও হাইড্রেট স্পট। একই সঙ্গে ওজুখানা, পানির লাইন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাও উন্নয়ন করা হয়েছে।

মসজিদে আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৪০টি এসি সচল করা হয়েছে, মহিলাদের নামাজ কক্ষের সব এসিও পুনঃসার্ভিসিং করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে উচ্চমানের কার্পেট সংযোজন করা হয়েছে, যা মিনারসহ বিভিন্ন অংশে নতুনভাবে বিছানো হয়েছে। বায়তুল মুকাররমে সর্বশেষ এক বছরে ১২০টি নতুন সিলিং ফ্যান এবং ১০টি পেডেস্টাল ফ্যান সংযোজন হয়েছে, যা নামাজের সময়ে শীতল আবহ তৈরি করছে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে সার্বক্ষণিক টয়লেট ও ওজুখানা পরিষ্কার ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছে। পূর্বদিকে আধুনিক ডিজাইনে নতুন অযুখানা ও ৩০টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি প্রবেশদ্বার পুনর্নির্মাণ হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে ওভারহেড জুতার বক্স।

মার্কেট পরিচালনা ও রাজস্ব আয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বকেয়া আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে দুটি দোকান। বছরজুড়ে কার পার্কিং ইজারা থেকে এসেছে রাজস্ব প্রবাহ। মোট মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খুব শিগগিরই জাতীয় মসজিদের আধুনিকায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও বিস্তৃত উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। বায়তুল মুকাররমকে দেশের প্রধান ইসলামী কেন্দ্র হিসেবে আরও আধুনিক সুবিধার আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।