প্রথম সমাবর্তন অনিশ্চিত থাকায় ক্ষোভ, তবু দ্বিতীয় সমাবর্তনের ফি তুলছে বুটেক্স প্রশাসন

আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তনের অনিশ্চয়তা দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকলেও এরই মধ্যে দ্বিতীয় সমাবর্তনের নামে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন ফি নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকার পর এ ধরনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বুটেক্সের প্রাক্তন ও সদ্য স্নাতক শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, কোনো নোটিশ, ঘোষণা বা সুনির্দিষ্ট তারিখ ছাড়া কেন নতুন ফি আদায় করা হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশাসন কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিচ্ছে না।

২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছিল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে পোশাক, গাউন, স্মারক সামগ্রী সহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রভাবে নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠানটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নতুন কোনো সময়সূচিও প্রকাশ করা হয়নি। ফলে প্রথম ব্যাচের স্নাতকদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে মূল সনদ সংগ্রহে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ও সনদ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নতুন খরচ যোগ হওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অনেকের অভিযোগ, ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে য ohnehinই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়; তার ওপর অনিশ্চিত সমাবর্তনের নামে নতুন ফি চাপিয়ে দেওয়া অন্যায্য। ওয়েবসাইট বা প্রশাসনিক নোটিশে বিষয়টি নিয়ে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে অস্বচ্ছ ও দায়িত্বহীন আচরণ হিসেবে দেখছেন।

প্রশাসন জানায়, ২০১৮ সালে গৃহীত এক নীতিমালার ভিত্তিতে মূল সনদ তুলতে হলে সমাবর্তনের ফি পরিশোধ বাধ্যতামূলক ছিল। তবে দীর্ঘ বিলম্বের কারণে বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলেই সনদ প্রদান করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পূর্বনির্ধারিত সমাবর্তন স্থগিত হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে এবং অনুমতি মিললে চলতি বছর প্রথম সমাবর্তন আয়োজন এবং এর পরবর্তী বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সমাবর্তন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মতে, প্রথম সমাবর্তনের তারিখ নিশ্চিত হওয়ার আগেই দ্বিতীয় সমাবর্তনের ফি তোলা অযৌক্তিক এবং এটি তাদের উপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। গত এক বছরের অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক নীরবতায় ক্ষোভ ও হতাশা আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

প্রথম সমাবর্তন অনিশ্চিত থাকায় ক্ষোভ, তবু দ্বিতীয় সমাবর্তনের ফি তুলছে বুটেক্স প্রশাসন

নভেম্বর ১১, ২০২৫

আহাম্মেদ সাব্বির, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তনের অনিশ্চয়তা দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকলেও এরই মধ্যে দ্বিতীয় সমাবর্তনের নামে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন ফি নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকার পর এ ধরনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বুটেক্সের প্রাক্তন ও সদ্য স্নাতক শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, কোনো নোটিশ, ঘোষণা বা সুনির্দিষ্ট তারিখ ছাড়া কেন নতুন ফি আদায় করা হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশাসন কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিচ্ছে না।

২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছিল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে পোশাক, গাউন, স্মারক সামগ্রী সহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রভাবে নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠানটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নতুন কোনো সময়সূচিও প্রকাশ করা হয়নি। ফলে প্রথম ব্যাচের স্নাতকদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে মূল সনদ সংগ্রহে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ও সনদ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নতুন খরচ যোগ হওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অনেকের অভিযোগ, ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে য ohnehinই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়; তার ওপর অনিশ্চিত সমাবর্তনের নামে নতুন ফি চাপিয়ে দেওয়া অন্যায্য। ওয়েবসাইট বা প্রশাসনিক নোটিশে বিষয়টি নিয়ে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে অস্বচ্ছ ও দায়িত্বহীন আচরণ হিসেবে দেখছেন।

প্রশাসন জানায়, ২০১৮ সালে গৃহীত এক নীতিমালার ভিত্তিতে মূল সনদ তুলতে হলে সমাবর্তনের ফি পরিশোধ বাধ্যতামূলক ছিল। তবে দীর্ঘ বিলম্বের কারণে বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলেই সনদ প্রদান করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পূর্বনির্ধারিত সমাবর্তন স্থগিত হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে এবং অনুমতি মিললে চলতি বছর প্রথম সমাবর্তন আয়োজন এবং এর পরবর্তী বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সমাবর্তন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মতে, প্রথম সমাবর্তনের তারিখ নিশ্চিত হওয়ার আগেই দ্বিতীয় সমাবর্তনের ফি তোলা অযৌক্তিক এবং এটি তাদের উপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। গত এক বছরের অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক নীরবতায় ক্ষোভ ও হতাশা আরও তীব্র হয়ে উঠছে।