নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ বরিশালঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক হিন্দু পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই সংখ্যালঘু পরিবারের জমিতে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটির বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শুক্রবার সকালে মিঠুন চন্দ্র সাহার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এলাকায় অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিঠুন চন্দ্র সাহা ও লুৎফর খানের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। গত বছর মার্চ মাসে তৎকালীন সরকারের প্রভাব ব্যবহার করে লুৎফর খান ও তার সহযোগীরা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মিঠুন চন্দ্র সাহার জমির গাছ কাটেন এবং সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। এ ঘটনায় মিঠুন চন্দ্র সাহা বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন।
রায়ের পর ভুক্তভোগী পরিবার তাদের মালিকানাধীন জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে লুৎফর খান তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে নতুন একটি মামলা করেন, যার কারণে পরিবারটির সদস্যরা গ্রেপ্তার-ভয়ের কারণে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। এ সুযোগে লুৎফর খান আবারও স্থায়ী বাউন্ডারি তুলতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরোও পড়ুন – আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম — আদালতে মামলা
মিঠুন চন্দ্র সাহা বলেন, আদালতের রায় পাওয়ার পরও তিনি তার নিজের ভিটায় নিরাপদে যেতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশকে বারবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে তাদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে এবং পরিবারটি এখন ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পরিবর্তিত দেশের পরিস্থিতিতেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কি নিশ্চিত নয়?
অন্যদিকে লুৎফর খান দাবি করেন, তিনি ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক এবং মিঠুন চন্দ্র সাহার জমি অন্য দাগে রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, এডিএম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাকেরগঞ্জে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখল ও বাউন্ডারি নির্মাণে সংখ্যালঘু পরিবারে আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ বরিশালঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক হিন্দু পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই সংখ্যালঘু পরিবারের জমিতে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটির বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শুক্রবার সকালে মিঠুন চন্দ্র সাহার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এলাকায় অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিঠুন চন্দ্র সাহা ও লুৎফর খানের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। গত বছর মার্চ মাসে তৎকালীন সরকারের প্রভাব ব্যবহার করে লুৎফর খান ও তার সহযোগীরা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মিঠুন চন্দ্র সাহার জমির গাছ কাটেন এবং সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। এ ঘটনায় মিঠুন চন্দ্র সাহা বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন।
রায়ের পর ভুক্তভোগী পরিবার তাদের মালিকানাধীন জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে লুৎফর খান তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে নতুন একটি মামলা করেন, যার কারণে পরিবারটির সদস্যরা গ্রেপ্তার-ভয়ের কারণে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। এ সুযোগে লুৎফর খান আবারও স্থায়ী বাউন্ডারি তুলতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরোও পড়ুন – আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম — আদালতে মামলা
মিঠুন চন্দ্র সাহা বলেন, আদালতের রায় পাওয়ার পরও তিনি তার নিজের ভিটায় নিরাপদে যেতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশকে বারবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে তাদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে এবং পরিবারটি এখন ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পরিবর্তিত দেশের পরিস্থিতিতেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কি নিশ্চিত নয়?
অন্যদিকে লুৎফর খান দাবি করেন, তিনি ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক এবং মিঠুন চন্দ্র সাহার জমি অন্য দাগে রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, এডিএম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।