ধর্মতলায় মতুয়া সমাজের গণসমাবেশ: অধিকার রক্ষায় কঠোর অবস্থানে সংগঠনগুলো

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থল সোমবার দুপুরে পরিণত হয় জনস্রোতে। এসআইআর ও সিএএ আইনের কার্যপ্রণালী সহজীকরণের দাবিতে মতুয়া সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত হয় বৃহৎ মহাসমাবেশ। বেলা দু’টোর দিকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল, পতাকা, সাংস্কৃতিক নৃত্য এবং শ্রী গুরুচাঁদ-হরিচাঁদের নামে স্লোগান তুলে শত শত মতুয়া সদস্য সভাস্থলে উপস্থিত হন।

মতুয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে জানান, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জটিলতা দূর না হলে সাধারণ মানুষের জীবন আরও বিপন্ন হবে। সংগঠনের অধিকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমরেড রবীন দেব। বক্তারা জানান, এসআইআর প্রক্রিয়ায় ভীতি ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করছে।

সমাবেশে মতুয়া জাগরণী মঞ্চ, বঙ্গীয় হরি গুরু চাঁদ আম্বেদকর চেতনা মঞ্চ, শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ মতুয়া সেবা সংঘ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জনকল্যাণ সংঘ, ক্যানিং আদিবাসী কল্যাণ সংঘ, বনগাঁ মহকুমা মতুয়া মহাসংঘ, হৃদয়পুর আম্বেদকর মিশন, চাষী কৈবর্ত সমাজ, বঙ্গীয় লোক কবি সংস্থা এবং শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনসহ একাধিক সংগঠন অংশ নেয়। সকলেই নাগরিকত্ব, সামাজিক নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামে একমত হন।

বক্তারা জানান, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা থেকে কোনও মতুয়া উদ্বাস্তু বাদ পড়লে তা মেনে নেওয়া হবে না। একইসঙ্গে দাবি ওঠে ২০০৩ সালের ‘কালা কানুন’ বাতিল করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দেওয়ার। আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জমি, জল ও জঙ্গলের অধিকার রক্ষার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

সমাবেশে আরও বলা হয়, এসআইআর প্রক্রিয়া ও সিএএ বাস্তবায়নের জটিলতার কারণে বহু নিরীহ মানুষ অনিরাপত্তায় ভুগছেন। বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে নাগরিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে—এ দাবি তুলেই বক্তারা দৃঢ় কণ্ঠে জানান, মতুয়া সমাজ কোনও ধরনের অত্যাচার বা অধিকারহরণ মেনে নেবে না। শ্রী গুরুচাঁদ-হরিচাঁদের আদর্শকে সামনে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।

সভা শেষে প্রতিনিধি ও অংশগ্রহণকারীরা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন, আম্বেদকরপ্রণীত সংবিধানের মূল আদর্শ রক্ষায় মতুয়া সমাজ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। নাগরিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে—এমনি বার্তাই উঠে আসে সমাবেশের মঞ্চ থেকে।

ধর্মতলায় মতুয়া সমাজের গণসমাবেশ: অধিকার রক্ষায় কঠোর অবস্থানে সংগঠনগুলো

নভেম্বর ২৫, ২০২৫

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থল সোমবার দুপুরে পরিণত হয় জনস্রোতে। এসআইআর ও সিএএ আইনের কার্যপ্রণালী সহজীকরণের দাবিতে মতুয়া সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত হয় বৃহৎ মহাসমাবেশ। বেলা দু’টোর দিকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল, পতাকা, সাংস্কৃতিক নৃত্য এবং শ্রী গুরুচাঁদ-হরিচাঁদের নামে স্লোগান তুলে শত শত মতুয়া সদস্য সভাস্থলে উপস্থিত হন।

মতুয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে জানান, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জটিলতা দূর না হলে সাধারণ মানুষের জীবন আরও বিপন্ন হবে। সংগঠনের অধিকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমরেড রবীন দেব। বক্তারা জানান, এসআইআর প্রক্রিয়ায় ভীতি ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করছে।

সমাবেশে মতুয়া জাগরণী মঞ্চ, বঙ্গীয় হরি গুরু চাঁদ আম্বেদকর চেতনা মঞ্চ, শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ মতুয়া সেবা সংঘ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জনকল্যাণ সংঘ, ক্যানিং আদিবাসী কল্যাণ সংঘ, বনগাঁ মহকুমা মতুয়া মহাসংঘ, হৃদয়পুর আম্বেদকর মিশন, চাষী কৈবর্ত সমাজ, বঙ্গীয় লোক কবি সংস্থা এবং শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনসহ একাধিক সংগঠন অংশ নেয়। সকলেই নাগরিকত্ব, সামাজিক নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামে একমত হন।

বক্তারা জানান, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা থেকে কোনও মতুয়া উদ্বাস্তু বাদ পড়লে তা মেনে নেওয়া হবে না। একইসঙ্গে দাবি ওঠে ২০০৩ সালের ‘কালা কানুন’ বাতিল করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দেওয়ার। আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জমি, জল ও জঙ্গলের অধিকার রক্ষার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

সমাবেশে আরও বলা হয়, এসআইআর প্রক্রিয়া ও সিএএ বাস্তবায়নের জটিলতার কারণে বহু নিরীহ মানুষ অনিরাপত্তায় ভুগছেন। বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে নাগরিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে—এ দাবি তুলেই বক্তারা দৃঢ় কণ্ঠে জানান, মতুয়া সমাজ কোনও ধরনের অত্যাচার বা অধিকারহরণ মেনে নেবে না। শ্রী গুরুচাঁদ-হরিচাঁদের আদর্শকে সামনে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।

সভা শেষে প্রতিনিধি ও অংশগ্রহণকারীরা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন, আম্বেদকরপ্রণীত সংবিধানের মূল আদর্শ রক্ষায় মতুয়া সমাজ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। নাগরিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে—এমনি বার্তাই উঠে আসে সমাবেশের মঞ্চ থেকে।