নবীনগরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা

মাজহারুল ইসলাম বাদলঃ

নবীনগরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দিবসটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নবীনগর মুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আয়োজন করা হয় শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস স্মরণে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালেই নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত স্মৃতি অনির্বাণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি গঠনে তাঁদের অবিস্মরণীয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ প্রান্তে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল জাতিকে মেধাশূন্য করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র। সেই আত্মত্যাগের বিনিময়েই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাঁদের আদর্শ ও মূল্যবোধকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধারণ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল আলম শাহান, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, জেলা বিএনপির নেতা মাসুদুল ইসলাম মাসুদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও এলাকার সুধীজন।

বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই একটি ন্যায়ভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।

নবীনগরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

মাজহারুল ইসলাম বাদলঃ

নবীনগরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দিবসটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নবীনগর মুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আয়োজন করা হয় শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস স্মরণে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালেই নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত স্মৃতি অনির্বাণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি গঠনে তাঁদের অবিস্মরণীয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ প্রান্তে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল জাতিকে মেধাশূন্য করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র। সেই আত্মত্যাগের বিনিময়েই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাঁদের আদর্শ ও মূল্যবোধকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধারণ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল আলম শাহান, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, জেলা বিএনপির নেতা মাসুদুল ইসলাম মাসুদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও এলাকার সুধীজন।

বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই একটি ন্যায়ভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।