মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন

আঃ হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগ স্মরণে মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একত্রিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সকাল সাড়ে ১০টায় কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত সবাই গভীর শ্রদ্ধা ও নীরবতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেন।

এরপর একটি শোক র‌্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বংশাই নদীর তীরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা করে। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণ করেন। শহীদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মোনাজাত শেষে উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স হল রুমের চতুর্থ তলায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জুবায়ের হোসেন। আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশ একটি মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত হয়। কিন্তু শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁদের রক্তের বিনিময়েই স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে দেশ গঠনে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন, মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর ইকবাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব আল রানা, সমাজসেবা অফিসার গোলাম মোস্তফা হোসাইন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এবং মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র করসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দিবসটি ঘিরে আয়োজিত এসব কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

আঃ হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগ স্মরণে মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একত্রিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সকাল সাড়ে ১০টায় কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত সবাই গভীর শ্রদ্ধা ও নীরবতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেন।

এরপর একটি শোক র‌্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বংশাই নদীর তীরে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা করে। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণ করেন। শহীদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মোনাজাত শেষে উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স হল রুমের চতুর্থ তলায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জুবায়ের হোসেন। আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশ একটি মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত হয়। কিন্তু শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁদের রক্তের বিনিময়েই স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে দেশ গঠনে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন, মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর ইকবাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব আল রানা, সমাজসেবা অফিসার গোলাম মোস্তফা হোসাইন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এবং মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র করসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দিবসটি ঘিরে আয়োজিত এসব কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।